ঘেটুপুত্র

মোঃ আব্দুল মোতালেব প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী , ২০২৪ ১১:১৯ আপডেট: ২৬ জানুয়ারী , ২০২৪ ১১:১৯ এএম
ঘেটুপুত্র
জানা যায় প্রায় দেড়শ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে বর্তমান বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন গ্রামীন সঙ্গীতধারা সৃষ্টি হয়েছিল। বর্ষাকালে যখন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়, মাঠ-ঘাট-ফসলের জমি পানিতে একাকার হয়ে যায় তখন ঐসব এলাকার জমিদাররা এক ধরণের বিশেষ নৃত্য-গানের আয়োজন করতেন। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হল সেখানে কোন মেয়ে নাচ-গান করত না! নতুন সেই সঙ্গীত ধারাতে মেয়েদের পোশাক পরে কিছু সুদর্শন সুন্দর মুখের কিশোরদের নাচগান করার রীতি চালু হয়। মেয়ের সাজে এসব ছেলেদেরকে ঘেটুপুত্র বলা হয়।

জানা যায় প্রায় দেড়শ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে বর্তমান বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন গ্রামীন সঙ্গীতধারা সৃষ্টি হয়েছিল।

বর্ষাকালে যখন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়, মাঠ-ঘাট-ফসলের জমি পানিতে একাকার হয়ে যায় তখন ঐসব এলাকার জমিদাররা এক ধরণের বিশেষ নৃত্য-গানের আয়োজন করতেন। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হল সেখানে কোন মেয়ে নাচ-গান করত না! নতুন সেই সঙ্গীত ধারাতে মেয়েদের পোশাক পরে কিছু সুদর্শন সুন্দর মুখের কিশোরদের নাচগান করার রীতি চালু হয়। মেয়ের সাজে এসব ছেলেদেরকে ঘেটুপুত্র বলা হয়।

আঞ্চলিক ভাষাতে এই কিশোরদের ঘেটু নামে ডাকা হত। ঘেটু নামের নব এই সঙ্গীত ধারাতে গান প্রচলিত সুরে কীর্তন করা হলেও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রভাব বেশ লক্ষনীয় ছিল। সমকামী বিত্তবানরা বিশেষ করে জোতদার বা জমিদার প্রমুখ এইসব কিশোরকে যৌনসঙ্গী হিসেবে পাবার জন্যে লালায়িত হতে শুরু করে। ঘেটুপুত্রদের কাজ শুধু নাচ-গানেই সীমাবদ্ধ থাকত না, জমিদারের বিকৃত যৌন বাসনা পূরণ করার জন্য তাদেরকে হতে হতো জমিদারের শয্যাসঙ্গী।

সত্যিকারে মজার ব্যাপার হল এসব ঘেটুপুত্ররা কিন্তু জেনেটিক ত্রুটির কারণে এমন হত না। বরং টাকার বিনিময়ে কতিপয় বিকৃত যৌনরুচির লোকদের মনোরঞ্জন করার জন্যই এরা ঘেটুপুত্র সাজত। প্রশ্ন হল আজকের দিনের ঘেটুপুত্ররা এমন হল কি কারনে। 

ফ্যাক্টঃ পুরুষ আক্তার নারী!

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo