উপমা ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি-এস এফ আইডিয়াল পলিটেকনিক অ্যান্ড বিএম কলেজ,মর্ডান রংপুর।
উপমা ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি-এস এফ আইডিয়াল পলিটেকনিক অ্যান্ড বিএম কলেজ,মর্ডান রংপুর। তারা এই প্রতিষ্ঠান দুটি সার্টিফিকেট বাণিজ্য করে থাকে। এবং যে বিল্ডিংটি তারা প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালায় সেই বিল্ডিংটিতে প্রায় ছয় থেকে সাতটা প্রতিষ্ঠান আছে "ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম সিদ্দিা। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এস এফ আইডিয়াল পলিটেকনিক অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে HSC পরীক্ষায় Digital Technology বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৪.২১ পেয়ে সে উত্তীর্ণ হয়। ওইদিন কলেজে সনদ ও নম্বরপত্র নিতে গেলে কলেজে থাকা কেরানি বহির্ভূত ২ হাজার টাকা দাবি করেন। এই ঘুষের টাকা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমার কৃষক বাবার নেই। তাই টাকা ছাড়া আমার সনদ ও নম্বরপত্র দিতে অনুরোধ করেছিলাম। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে আমার ঘুষের এই টাকা জোগাড় করে পরিশোধ করতেও চেয়েছে। এক পর্যায়ে আমার মায়ের সামনে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কলেজ এর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী । এখন পর্যন্ত ওই কলেজে ভর্তি হয়ে যত শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের থেকেই এভাবেই জোরপূর্বক ঘুষের টাকা আদায় করেন শিক্ষকরা। এক্ষেত্রে প্রশংসাপত্র বাবদ ১০০০ টাকা এবং সনদ ও নম্বরপত্র বাবদ ২০০০ টাকা ঘুষ নির্ধারণ করেছে কলেজের শিক্ষকরা । শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পাস করার পর প্রশংসা, সনদ ও নম্বরপত্র স্কুলে আটকে রাখেন শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এসব নিতে গেলে ঘুষ চাওয়া হয় ১ হাজার থেকে ২০০০ পর্যন্ত টাকা নিয়ে থাকে । এই টাকা না দিলে শিক্ষকরা হুমকি-ধামকিসহ অকথ্য ভাষায় শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করেন। গ সহজ-সরল অভিভাবককে লাঞ্ছিত করা হয়। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো তাদের অপমান করেন শিক্ষকেরা মিলে। এ কারণে অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার হয়েও নীরবেই থাকতে হয় অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের।