শখের বসে ১৭ বছর আগে ভেড়া পালন শুরু করেন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর জগন্নাথপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম। আর এ শখই এখন রুপ নিয়েছে বাণিজ্যিক খামারে। বর্তমানে যা থেকে বছরে আসে প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন তিনি। রবিউল এর সফলতা দেখে অনেকেই ভেড়া খামার করতে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।
শখের বসে ১৭ বছর আগে ভেড়া পালন শুরু করেন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর জগন্নাথপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম। আর এ শখই এখন রুপ নিয়েছে বাণিজ্যিক খামারে। বর্তমানে যা থেকে বছরে আসে প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন তিনি। রবিউল এর সফলতা দেখে অনেকেই ভেড়া খামার করতে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।
খামারি রবিউল বলেন , ছোটবেলা থেকেই ভেড়া পালনের শখ ছিল। ২০০৭ সালে শখের বসে ১ হাজার ৪০০ টাকায় ১ টি ভেড়া কিনে লালন-পালন শুরু করি। ৬ মাসের মধ্যে ভেড়া ৩ টি বাচ্চা দেয়। এই ভাবেই প্রতি বছর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে ভেড়া। এ শখকে পুঁজি করেই সিদ্ধান্ত নেই ভেড়ার খামার করার। উপজেলা প্রাণী সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শক্রমে খামার গড়ে তোলেন। বর্তমানে তার খামারে ২০০ টি ভেড়া রয়েছে। ভেড়া গুলোর মহিলা ভেড়ার সংখ্যায় বেশি রয়েছে।
বর্তমানে এই ভেড়া দেখাশোনা করার জন্য রাখা হয়েছে আসিফ নামের এক যুবককে । তিনিই এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভেড়ার পরিচর্চা করেন । রাখাল হিসেবে আসিফ থাকা খাওয়া ফ্রি সহ বছরে দেওয়া হয় দেড় লক্ষ টাকা । সরকারী সুযোগ সুবিধা পেলে ভেড়া পালনের জন্য নিজ বাড়িতে একটি আধাপাকা ঘর নির্মান করে বড় খামার বানাবেন তিনি ।
রাখাল আসিফ বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে এই খামারে কাজ করছি , আমি নিজেই ভেড়া খাওয়ানো পরিচর্যা থেকে শুরু করে ভেড়ার সবকিছু দেখাশুনা করে থাকি। আমার থাকা খাওয়া ফ্রি এবং প্রতি বছরে দেড় লক্ষ টাকা পাই যা দিয়ে আমার পরিবারের বাবা মা ও আমার ছোট ভাই মিলে খুব সুখেই চলতে পারি। রবিউল এর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার ভেড়া পালন দেখে অনেক বেকার যুবকও আগ্রহী হতে পারেন এবং ভেড়ার খামার করে বেকারত্ব ঘোচাতে পারেন বলে জানা স্থানীয়রা।
কুমারখালী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের চিকিৎসাসহ সকল পরামর্শ দেয়া হয়। অন্যান্য পশুর তুলনায় ভেড়া পালন লাভজনক। এছাড়াও এর মাংসের পরিমান ও স্বাদ অনেক বেশি। তাই আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে ভেড়া পালন অধিক লাভজনক ব্যবসা।