কুমারখালীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা ভাংচুর, ইউপি সদস্য গ্রেফতার

মাহাবুব হোসেন প্রকাশিত: ২৩ জুন , ২০২৪ ১৪:৩৩ আপডেট: ২৩ জুন , ২০২৪ ১৪:৩৩ পিএম
কুমারখালীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা ভাংচুর, ইউপি সদস্য গ্রেফতার
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আরিফুল ইসলামের সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফের বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আরিফুল ইসলাম হাসিমপুর বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অফিসে বসে ছিলেন। এসময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লতিফ মেম্বার ও তার লোকজন হাসুয়া, ডাসা, চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ি, শাবল, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করে। এসময় তারা নানা হুমকি-ধমকি ও গালিগালাজ করে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও ফার্মেসি ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিমপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।  

এঘটনায় কুমারখালী থানায় ১২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আরিফুল ইসলাম। এ মামলার প্রধান আসামি জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লতিফ হাসিমপুর গ্রামের মৃত পুকাই শেখের ছেলে। মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম একই গ্রামের ওয়াজেদ আলী শেখের ছেলে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আরিফুল ইসলামের সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফের বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আরিফুল ইসলাম হাসিমপুর বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অফিসে বসে ছিলেন। এসময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লতিফ মেম্বার ও তার লোকজন হাসুয়া, ডাসা, চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ি, শাবল, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করে। এসময় তারা নানা হুমকি-ধমকি ও গালিগালাজ করে। 

এরপর ওই বাজারে আরিফুলে ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফার্মেসিতে হামলা করে। এসময় তারা মামুনকে মারপিট করেন, ফার্মেসি ভাংচুর করেন, ঔষধপত্র ও টাকা লুটপাট করে। এসময় তারা দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেন। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম  বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এসময় তারা আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করেছে। আমার ভাইকে মারপিট করেছে। তার ফার্মেসি ভাংচুর করেছে, ঔষধপত্র ও টাকা লুটপাট করেছে। আমি সুষ্ঠ বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 

এবিষয়ে কথা বলার জন্য জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফের পরিবার ও সমর্থকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায় নি। 

এবিষয়ে কথা বলার জন্য জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব বলেন, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এক নম্বর আসামি ইউপি সদস্য লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে পুলিশ। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর যে কোনো ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo