ঢাবি ছাত্র হত্যা মামলায় সেনা সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৫ মার্চ , ২০২৪ ১০:৪৮ আপডেট: ২৫ মার্চ , ২০২৪ ১০:৪৮ এএম
ঢাবি ছাত্র হত্যা মামলায় সেনা সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম (৫৪) হত্যা মামলায় সেনা সদস্য ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম (৫৪) হত্যা মামলায় সেনা সদস্য ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।  

রোববার  (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম দুই জন আসামী উপস্থিত ও পাঁচ জনের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। 

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।

সাজাপ্রাপ্তরা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, ওসমান আলী সরদারের আ: গফুর ওরফে গফুর (উপস্থিত), মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ (উপস্থিত),  বাকী পলতাকরা হলো

জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম ওরফে তৌফিক,  মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য জুয়েল ওরফে বখতিয়ার,  দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম  ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি ঈদুল ফিতরের ঈদ উদযাপনে  বিকাল ৫টায় সে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে আসেন। সে ২০০০ সালের ১১ জানুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে বাড়ি বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর ফিরে নাই। পরদিন ১২ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড়ে  মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা ।
খবর পেয়ে আব্দুর রহিমের মরদেহ সনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায়  নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে ২০০০ সালের ১২ জানুয়ারী বেগুনবাড়ি গ্রামের ঝন্টু, তৌফিকুল ইসলাম ও জুয়েলের নাম উল্লেখ  করে আক্কেলপুর থানায় মামলা করেন।  পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ২২ অক্টোবর  তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা   অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহাবুব উল আলম আসামীদের স্বীকারোক্তিতে তদন্তে ৭জনের নামে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। দীর্ঘশুনানী শেষে আজ দুই জন আসামীর উপস্থিতিতে ও পাঁচজনের অনুপস্থিতিতে আদালতের বিচারক এ রায় দেন। 

মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল পিপি,  গকুল চন্দ্র মন্ডল, এপিপি। আর আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিজানুর রহমান।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo