সরিষার আবাদঃচারিদিকে হলুদের সমারোহ

মোঃ শফিকুল ইসলাম দুলাল প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী , ২০২৪ ১১:৪৭ আপডেট: ৩০ জানুয়ারী , ২০২৪ ১১:৪৭ এএম
সরিষার আবাদঃচারিদিকে হলুদের সমারোহ
ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর বহুগুনে বেড়েছে সরিষার আবাদ। হলুদের সমারোহ আর মৌমাছিদের কলতানে বর্তমানে সুগন্ধিময় সরিষার ক্ষেত। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরিষার ক্ষেত দেখে যে কারও মন মুগ্ধতায় মেতে উঠবে।

ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর বহুগুনে বেড়েছে সরিষার আবাদ। হলুদের সমারোহ আর মৌমাছিদের কলতানে বর্তমানে সুগন্ধিময় সরিষার ক্ষেত। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরিষার ক্ষেত দেখে যে কারও মন মুগ্ধতায় মেতে উঠবে। 

কৃষি বিভাগের সূত্র মতে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি জমিতে এ বছর সরিষার আবাদ হয়েছে। আর ফলনও ভাল হবে বলে প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ। আর কিছুদিনের মধ্যেই সরিষা ক্ষেত থেকে তুলে মাড়াই শুরু করবেন কৃষকেরা। গত বছর সরিষার দাম ভাল পাওয়ায় এ বছর আবাদ বেড়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৫ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমি। 

সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের কৃষক সোহরাব আলী জানান, গত বছর তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে সরিষা করেছিলেন। ভাল দাম পাওয়ায় এ বছর বাড়িয়ে প্রায় দেড় বিঘা (৭৫ শতক) জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। 

সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ছোট বালিয়া গ্রামের কৃষক মহব্বত আলী জানান, গত বছর দেড় বিঘা (৭৫ শতক) জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলেন, দামও পেয়েছিলেন ভাল। এবছরও তিনি প্রায় ৩ বিঘা (১৫০ শতক) জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। এর মধ্যে সরিষা ছোট থাকতেই শাক হিসেবে বিক্রি করেছেন। সরিষার ফলনও ভাল হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলায় এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে। গত বছর সরিষার ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকেরা অনেক বেশি জমিতে সরিষা লাগিয়েছেন। এ অঞ্চলের সরিষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে। জেলার সরিষা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘানির মাধ্যমে খাটি সরিষার তেল করা হয়; যার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশ-বিদেশে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবছরও ফলন ভাল হয়ে কৃষকেরা ভাল দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo