কালাইয়ে জাল সনদধারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

মো: জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) প্রকাশিত: ১১ আগস্ট , ২০২৪ ১৭:৫৯ আপডেট: ১১ আগস্ট , ২০২৪ ১৭:৫৯ পিএম
কালাইয়ে জাল সনদধারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
স্থানীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও সুধিজনদের নিয়ে এই মানববন্ধন উপজেলার প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে উপস্থিত সবাই একত্রে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। পাশাপাশি তারা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম সহ্য করা হবে না এবং এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়া এক সহকারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে আজ বেলা ১২টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও সুধিজনদের নিয়ে এই মানববন্ধন উপজেলার প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে উপস্থিত সবাই একত্রে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। পাশাপাশি তারা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম সহ্য করা হবে না এবং এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,অভিযুক্ত সহকারী প্রধান  শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল কালাই ময়েনউদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গত ১৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি নিয়োগের সময় দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএডের জাল সনদপত্র ব্যবহার করে চাকরি লাভ করেছেন।

চলতি বছরের ১৪ জুলাই জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় তাঁর জাল সনদ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিদ্যালয়ের ছাত্র- শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। এতে আবারও তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের পক্ষ থেকে মো.মুনছুর রহমান জানান, সাইফুল ইসলামের নিয়োগের সময় আমরা বলেছিলাম বির্তকিত এই শিক্ষককে চাকরী না দেওয়ার জন্য। কিন্তু তৎকালীন সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার স্বজনপ্রীতি ও নিজ দলের অনুগত হিসাবে সুবিধাভোগী এই শিক্ষককে নিয়োগ দেন। আমরা কোনো বির্তকিত শিক্ষককে স্কুলে দেখতে চাই না। আমরা এই নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের বিচার দাবি করি।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, "আমরা জানতাম স্যার একজন ভালো শিক্ষক। কিন্তু যখন শুনলাম তিনি জাল সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন,তখন আমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।আমরা চাই না এমন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক আমাদের পাঠদান করান।বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর এক অভিভাবক মো.ইউসুফ মন্ডল বলেন,"এই ধরনের ঘটনা আমাদের শিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

স্থানীয় সুধিজন মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন,"এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা। একজন শিক্ষক যদি জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেন,তাহলে আমাদের সন্তানদের কি শিক্ষা দেবেন? আমরা অবিলম্বে তার অপসারণ চাই এবং তার স্থলে একজন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই।"অভিযোগের বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বকুল বলেন,"আমি এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছি।

ইতোপূর্বে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে তেরটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এবং বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্টে জাল সনদ বিষয়ে মামলার শুনানি অপেক্ষামান রয়েছে। আশা করি সেখানেও ন্যায়বিচার পাব।কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোনোয়ারুল হাসান বলেন,"শুনেছি সাইফুল ইসলামের সনদের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে। তবে তাঁর সনদের সঠিকতা নিয়ে সন্দেহ আছে। দলীয় প্রভাবের কারণে তাঁর সনদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।জয়পুরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন (ভারপ্রাপ্ত) জানান ,"অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে তদন্ত শেষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শিক্ষার মান ধরে রাখতে আমাদের প্রশাসন সর্বদা সতর্ক থাকবে

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo