কালকিনিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল , ২০২৪ ০৯:২৫ আপডেট: ২০ এপ্রিল , ২০২৪ ০৯:২৫ এএম
কালকিনিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরের কালকিনিতে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। (১৮) বছর বয়সের কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত নাজমুছ সাকিবসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই কলেজছাত্রীর পরিবার। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

মাদারীপুরের কালকিনিতে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। (১৮) বছর বয়সের কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত নাজমুছ সাকিবসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই কলেজছাত্রীর পরিবার। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ।মামলা, পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহেবরামপুর গ্রামের শাহাবুল বেপারীর ছেলে নাজমুছ সাকিবের সাথে একই এলাকার ওই কলেজছাত্রীর প্রায় দুই বছর পূর্বে

প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এর সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে ওই কলেজছাত্রীকে তার বসতঘরে যখন একা ছিলেন এসময়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক নাজমুছ সাকিব ধর্ষণ করেন। পরে এই ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় সালিসরা নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞেস করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।এরমধ্যে ঘটনার বেশ কয়েকদিন পার হয়ে যায় কিন্তু ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে সাকিব এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে উপায়ান্ত না পেয়ে ওই কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে মো. নাজমুছ সাকিবসহ তার পরিবারের

তিনজনকে আসামি করে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পরে থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মামলার বাদী ধর্ষিত ওই কলেজছাত্রীর মা কান্না জড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছে নাজমুছ সাকিব। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করেও তাদেরকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয় সালিশ বলেন, এই ঘটনা জানতে পেরে আমরা নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞেস করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু পরে ঘটনার বেশ কয়েকদিন পার হলেও

ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে অভিযুক্ত ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।এ ব্যাপারে কালকিনি থানার এস. আই মো. ফয়সাল বলেন, কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই যুবতীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং আসামিকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo