কাঠালিয়ায় সাপের কামড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু, ডাক্তারদের অবহেলার অভিযোগ স্বজনদের

মোঃ ফয়সাল আহম্মদ প্রকাশিত: ২৯ জুন , ২০২৪ ১৫:৪৭ আপডেট: ২৯ জুন , ২০২৪ ১৫:৪৭ পিএম
কাঠালিয়ায় সাপের কামড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু, ডাক্তারদের অবহেলার অভিযোগ স্বজনদের
শুক্রবার রাতে উপজেলার তালতলা বাজারের সেলিম আকনের মুদি দোকানে বসে সাপ তার হাতে কামড় দেয়। এ সময় সেলিম নিজেই উপস্থিত লোকজনদের তাকে সাপে কামড় দিয়েছেন বলে জানান, তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলার আমুয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্বজনদের অভিযোগ “কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছে এন্টিভেনম রাখার স্টোর রুমে চাবি নেই, তাই তারা চিকিৎসা দিতে পারছেন না বলে জানান”। ঘন্টা খানেক পরে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পথিমধ্যে সেলিমের মৃত্যু হয়। মৃত মোঃ সেলিম আকন উপজেলার পূর্ব বাশবুনিয়া গ্রামের আঃ সত্তার আকনের ছেলে। সে তালতলা বাজারে মুদি দোকানের ব্যবসা করত।

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার তালতলা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম আকন (৬০) সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তারদের অবহেলায় সেলিম এর মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ রয়েছে। 

শুক্রবার রাতে উপজেলার তালতলা বাজারের সেলিম আকনের মুদি দোকানে বসে সাপ তার হাতে কামড় দেয়। এ সময় সেলিম নিজেই উপস্থিত লোকজনদের তাকে সাপে কামড় দিয়েছেন বলে জানান, তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলার আমুয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্বজনদের অভিযোগ “কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছে এন্টিভেনম রাখার স্টোর রুমে চাবি নেই, তাই তারা চিকিৎসা দিতে পারছেন না বলে জানান”। ঘন্টা খানেক পরে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পথিমধ্যে সেলিমের মৃত্যু হয়। মৃত মোঃ সেলিম আকন উপজেলার পূর্ব বাশবুনিয়া গ্রামের আঃ সত্তার আকনের ছেলে। সে তালতলা বাজারে মুদি দোকানের ব্যবসা করত।

মৃত্যু সেলিম এর ভাই’র ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জসিম জানান, সাপে কামড় দেয়ার পরে আমরা চাচাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, তখন তারা রোগীকে টেবিলের উপর ফেলে রেখেছে, আমরা জিজ্ঞেস করলে চিকিৎসকরা বলে রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, কিছুক্ষন পরে আবারও জিজ্ঞেস করলে চিকিৎসকরা বলে, বিষাক্ত সাপে কামড় দিয়েছে, এখানে কোন চিকিৎসা হবে না, আপনারা রোগী বরিশালে নিয়ে যান। আমরা রোগীকে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পথে আমাদেরকে আমুয়া হাসপাতাল থেকে ফোন দিয়ে রোগীকে নিয়ে আসতে বললে, আমরা চাচাকে আবারও উপজেলা হাসপাতাল আমুয়া নিয়ে যায়। তখন ডাক্তাররা বলে দশটি ভ্যাকসিন এক সাথে পুষ করতে হয়, আমাদের কাছে আটটি ভ্যাকসিন আছে, হাসপাতালের স্টোরের চাবি নাই। তাই আমরা ভ্যাকসিন পুষ করতে পারছি না। তখন আমরা রোগীকে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পথে চাচা মারা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তাপশ কুমার জানান- সাপে কামড়ের রোগীকে ভ্যাকসিন পুষ করার রোগীর নিকটতম স্বজনের নি-দাবী পত্রে স্বাক্ষর করার বিধান রয়েছে। সেলিমের পক্ষে কেউ স্বাক্ষর না করায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে এন্টিভেনম পুষ করতে পারেননি। স্বজনরা আগ্রহী হয়ে তাকে বরিশাল নিয়ে গেছেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo