কাঠালিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ আউরা খালের সেতুতে মৃত্যুঝুঁকি, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা

মোঃ ফয়সাল আহম্মদ প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর , ২০২৫ ১৬:৫৪ আপডেট: ১ সেপ্টেম্বর , ২০২৫ ১৬:৫৪ পিএম
কাঠালিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ আউরা খালের সেতুতে মৃত্যুঝুঁকি, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা

কাঠালিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ আউরা খালের সেতুতে মৃত্যুঝুঁকি, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা
মো. ফয়সাল আহম্মদ, উপজেলা প্রতিনিধি, কাঠালিয়া (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে দক্ষিণ আউরা খালের ওপর নির্মিত পুরোনো আয়রন ব্রিজটি এখন মৃত্যুঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে সংস্কারবিহীন এ সেতুটি বর্তমানে ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
তীব্র জোয়ারের স্রোত ও বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজটির কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে। কয়েকটি স্ল্যাব ভেঙে বড় বড় ফাঁকা তৈরি হয়েছে, ভেঙে গেছে রেলিংও। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কৃষক ও সাধারণ পথচারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ—৪/৫ জন একসঙ্গে ব্রিজের ওপর উঠলেই কেঁপে ওঠে পুরো সেতু। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। কয়েক দফা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে সাময়িক সংস্কার করলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি।
কাঠালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, “১৯৬১ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গত ২০ বছরে কয়েকটি স্ল্যাব বদলানো ছাড়া কোনো সংস্কার হয়নি।”
সামাজিক আন্দোলন কাঠালিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. অমিত হাসান তুহিন বলেন, “উপজেলা পরিষদ থেকে হাতেগোনা কয়েক গজ দূরে এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ থাকা লজ্জাজনক। আমরা সংস্কার নয়, স্থায়ীভাবে একটি টেকসই গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”
কাঠালিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, “বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, “দক্ষিণ আউরা খালের ব্রিজ সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই বরাদ্দ মিলবে এবং ব্রিজটি সংস্কার করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হবে।”
এলাকাবাসীর একমাত্র দাবি—ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন ব্রিজটি দ্রুত ভেঙে নতুন কংক্রিট বা গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন তারা।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo