কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগ

দেওয়ান মোঃ ইকবাল প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী , ২০২৪ ১২:২১ আপডেট: ২৮ জানুয়ারী , ২০২৪ ১২:২১ পিএম
কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগ
দাগনভূঞা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে রবিউল নামে এক ব্যবসায়িকে শারীরিক নির্যাতন ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

দাগনভূঞা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে রবিউল নামে এক ব্যবসায়িকে শারীরিক নির্যাতন ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে দুলা মিয়া কটন মেইলের পূর্ব পাশে মন্নান মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে। এই ব্যাপারে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দাগনভূঞা থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। উক্ত এজাহারে কৃষ্ণরামপুর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামরুল হাসন (৫৫) প্রথম, একই ওয়ার্ডের আবুল বাশার (৪০) দ্বিতীয় ও রাজু (৩৫) কে ৩য় বিবাদী হিসেবে নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করা হয়।

ভুক্তভোগী মোঃ রবিউল হোসেন (৩৩) এর দায়ের করা এজাহার থেকে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তার পাওয়ার টিলারের গাড়ী আছে। তারমধ্যে একটি গাড়ির ড্রাইভার মামুনের সাথে ২নং বিবাদীর বাশারের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করে। তার  ড্রাইভার বাশারের মেয়ের সাথে চলে যাওয়ার পর হতে বিবাদীগণ তাকে  বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে । তারই ধারাবাহিকতায় ২৬শে জানুয়ারি বিকাল অনুমান ৪.০০ ঘটিকায় এজাহারে বিবাদীগণ তাকে বর্ণিত ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ১নং বিবাদী কাউন্সিলর কামরুল বাঁশ দিয়ে তার সমস্ত শরীরের আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করে। সেসময় ১নং বিবাদী তার পকেট থেকে নগদ ১০,০০০/- টাকা নিয়ে যায়। এজাহারে উল্লেখ আছে যে তার শোর-চিৎকারে আশ- পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগণ তাকে প্রানে হত্যা করিবে, তার ব্যবসা নষ্ট করিয়া দিবে সহ বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। 

বাদি রবিউল বলেন, আমার কর্মচারীর সাথে বাশারের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়ে আর ছেলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর কামরুল আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করে ও আমার কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমার পকেট থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে। মেয়ের বাবা বাশার বলেন, আমার মেয়ের সাথে রবিউলের কর্মচারী মামুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি আমার মেয়েকে ফেরানোর চেষ্টা করেছি। রবিউলের কাছেও ছেলের ব্যাপারে বিচার দিয়েছি। 

৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়া উল হক বলেন, রবিউল আমার ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। তার ব্যাপারে কোন অভিযোগ থাকলে আমাকে জানাতে পারত। এই ভাবে নির্যাতন করে বিচার করার কোন বিধান নেই। 

ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্ত ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান বলেন, উভয় পক্ষ গরিব বলে নিজে বিচার করেছি। যেন আইনগত ভাবে কোন ঝামেলায় না পড়ে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসিম জানান, এবিষয়ে এজার পেয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo