এইটা রাস্তা নয় যেনো মরণফাঁদ, নবীগঞ্জ ( রুদ্র গ্রাম রোড )

জাফর ইকবাল প্রকাশিত: ১৯ মে , ২০২৪ ০৯:২২ আপডেট: ১৯ মে , ২০২৪ ০৯:২২ এএম
এইটা রাস্তা নয় যেনো মরণফাঁদ, নবীগঞ্জ ( রুদ্র গ্রাম রোড )
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ রুদ্র গ্রাম রোডে চলাচল করেন লক্ষাদিক মানুষ। অতিষ্ঠ জনজীবন, ছোটোখাটো এক্সিডেন্টে আসক্ত প্রায় ১৮/২০ টি গ্রামের মানুষ। এখানেই শেষ নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৩০/৩২ টি, আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই রাস্তা দিয়ে যদি কোনো প্রেগন্যান্ট রুগী যায়, তাহলে রাস্তায় ডেলিভারি হবে নয় মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা"টাই বেশী, এমন মন্তব্য করেন ভঁরপুর গ্রামের এক বিশিষ্ট মুরুব্বি।

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ রুদ্র গ্রাম রোডে চলাচল করেন লক্ষাদিক মানুষ। অতিষ্ঠ জনজীবন, ছোটোখাটো এক্সিডেন্টে আসক্ত প্রায় ১৮/২০ টি গ্রামের মানুষ। এখানেই শেষ নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৩০/৩২ টি, আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই রাস্তা দিয়ে যদি কোনো প্রেগন্যান্ট রুগী যায়, তাহলে  রাস্তায় ডেলিভারি হবে নয় মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা"টাই বেশী, এমন মন্তব্য করেন ভঁরপুর গ্রামের এক বিশিষ্ট মুরুব্বি।

নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি এই রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন কলেজে যাওয়া আসা করি, এই রাস্তা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো রাস্তা  নাই আমাদের, বাদ্য হয়ে যাতায়াত করা লাগে, এই মরণফাঁদ রাস্তা দিয়ে কলেজে যেতে যেতেই আমি ক্লান্ত হয়ে যাই, কলেজ এ গিয়ে ক্লান্ত শরীর নিয়ে পড়াশোনা"টাই করবো কি করে, আমাদের এই ভোগান্তি"টা দেখার কেউ নেই, গাড়ি"তে উঠলে মন চায় কাঁন্নাকাটি করার, কাঁদ"তেও পারিনা লোকলজ্জার ভয়ে, আবার আমাদের দেশের আমলারা ভোট আসলে বলে, মায়ের কোলে শিশু বলে অমুক ভাই যাবে জিতে, আসলেই মায়ের কূলের শিশু যদি তাদের ভাই হয়, আর যাই হোক তাদের দ্বারা জনসাধারণের কোনো কাজ হবে না।

নাদামপুর গ্রামের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক আতিক বলে, আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নাই, সবাই যার যার স্বার্থ নিয়ে পাগল হয়ে আছেন, আমরা দিনমজুর মানুষ, সারাদিন পরিশ্রম করতে হয়, গাড়ি নিয়ে সকালে বেরিয়ে আসি সন্ধ্যায় ঘরে যাই, আর নবীগঞ্জ থেকে বাউসা নাদামপুরের যাত্রী"দের নিয়ে, যাওয়া আসা করতে হয়, এতে করে অনেক ছোট-বড় এক্সিডেন্টে"র শিকার হওয়া লাগে, অল্প শিলা বৃষ্টি হলেই রাস্তার বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয় পানি, এতে করে তৈরী হয় আমাদের মরণফাঁদ, অনেকের গাড়ি উল্টেও যায়, অনেক ক্ষতি হয়, তবুও পেটের দায় গাড়ি নিয়ে যাত্রী"দের গন্তব্য হয়।  নবীগঞ্জ উপজেলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, নেই কোনো সংস্কার, মহাসড়ক ঢাকা টু সিলেটের সাথে সংযুক্ত এই রাস্তা, আর মহাসড়কের আসপাশের এলাকা থেকে নবীগঞ্জে আসেন দিনারপুর পরগুনার অসংখ্য গ্রামের মানুষ। নবীগঞ্জ পৌরসভার বরাক নগর ও (৯) নং বাউসা ইউনিয়নের রিফাতপুর, আব্দা, পাইকপাড়, পশ্চিম নাদামপুর, নাদামপুর, বাউসা, চৌকি, গহরপুর, মাইজগাঁও, বিলপাড়, দৌলতপুর, হরিধরপুর, চৌধুরী বাজার, ভহরপুর  চাঁনপুর, টুনাকান্দি, বাঁশডর ও আইন গাও, ১৮/২০ টি গ্রামের মানুষের চলাচলের পথ একটা মাত্র, আর সেটি হলো রুদ্রগ্রাম রোড, আজ এই রাস্তা"টি ১৮/২০ টি গ্রাম"সহ পরগুনার অসংখ্য গ্রামের মানুষের জন্য মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০/৩২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী এবং নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী"রা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।
 
চৌকি গ্রামের সিএনজি চালক প্রতিনিধি"কে বলেন, রুদ্র গ্রাম রাস্তায় এখন পাঙ্গাশ মাছ চাষ করার উপযোগী হয়েছে, আমার দৃষ্টিতে এই রাস্তায় এখন গাড়ি না চালিয়ে মাছ চাষ বেশ লাভবান হতে পারবে, আর গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো নির্বাচন আসলে পার্থী"দের কথা শুনলে আমার হাসি পায়। এব্যপারে নবীগঞ্জ/বাহুবলের সংসদ সদস্য বেগম আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া"র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে উনাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।  নবীগঞ্জ উপজেলা এলজিডি অফিসার হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে হাসান"কে মুঠোফোনে পাওয়া যায়"নি।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo