ঋণের চাপে যুবকের আত্নহত্যা

মোঃ সাজেদুর রহমান প্রকাশিত: ১৫ জুলাই , ২০২৪ ১৭:৪৬ আপডেট: ১৫ জুলাই , ২০২৪ ১৭:৪৬ পিএম
ঋণের চাপে যুবকের আত্নহত্যা
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাক হোসেন জমি কিনে বাড়ি করছিলেন। সংসার ও বাড়ি নিমার্ণ করতে গিয়ে ধীরে ধীরে ঋণে জড়িয়ে যান তিনি। এক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১৮/২০ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। ঋণ দাতাদের চাপে গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে মোস্তাক আত্মগোপনে চলে যান। পরে ঋণদাতাদের চাপে মোস্তাকের স্ত্রী বাড়ি বিক্রির সাইনবোর্ড দেন। পরে মেস্তাক ফিরে এলে ঋণদাতাদের চাপ আরও বেড়ে যায়।

ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে মোস্তাক হোসেন নামে এক যুবক গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।রোববার (১৪ জুলাই) নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের পূর্ব হাগুরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাক হোসেন জমি কিনে বাড়ি করছিলেন। সংসার ও বাড়ি নিমার্ণ করতে গিয়ে ধীরে ধীরে ঋণে জড়িয়ে যান তিনি। এক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১৮/২০ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। ঋণ দাতাদের চাপে গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে মোস্তাক আত্মগোপনে চলে যান। পরে ঋণদাতাদের চাপে মোস্তাকের স্ত্রী বাড়ি বিক্রির সাইনবোর্ড দেন। পরে মেস্তাক ফিরে এলে ঋণদাতাদের চাপ আরও বেড়ে যায়।

এক পর্যায়ে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে দুদিন অনাহারে দিন কাটে।এরপর রোববার সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৫ টাকা ধার নিয়ে গ্যাস ট্যাবলেট কিনে খান মোস্তাক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাকে নাটের আধুনিক সদর হাসপাতাল নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানেই দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।নাটোর জজকোর্টের কৌশুলি সহকারী সারোয়ার জাহান সোহেল বলেন, মোস্তাকের কোর্টেও অনেকের কাছে ঋণ করেছিলেন।

ঋণ পরিশোধে বাড়ির বিক্রির কথাও তাকে বলেছিল। কিন্তু হঠাৎ এমন মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা পড়েছে চরম বেকায়দায়। মোস্তাকের বড় মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মেজো মেয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছেলের বয়স ৩-৪ বছর। এমন অবস্থায় এখন সংসার কীভাবে চলবে।মোস্তাক নাটোর জজ কোর্টের স্ট্যাম্প ভেন্ডার।প্রতিবেশীদের ধারণা, অনলাইনে জুয়া খেলে এমন ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন মোস্তাক। 

নিহতের পরিবার, স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, মোস্তাকের বাড়ি সদর উপজেলার উলিপুর এলাকায়। তবে তিনি পূর্ব হাগুরিয়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে থাকতন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, ‘মোস্তাক ভালোই আয় করতেন। তার পরিবারের সদস্যদের পোশাক, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়ায় বিলাসিতার ছাপ দেখা যেতো। তবে মোস্তাক যাদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন তাদের অনেকেই মোবাইলে জুয়া খেলে বাড়ি-ঘর বিক্রি করে এখন নিঃস্ব।’

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo