বগুড়ার আদমদীঘিতে রহিম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে গভর্নিং বডি নির্বাচনে শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ফরম জমাদানে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া জেলা বিএনপির ত্রান ও পূর্নবাসন সহ-সম্পাদক ও আদমদীঘি উপজেলা বি,এন,পির সেক্রেটারি আবু হাসানের বিরুদ্ধে। সরজমিনে দেখা যায় আফরোজা আকতার নামে একজন প্রভাষক শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ফরম তুলতে আসলে প্রিন্সিপালের সাথে কথপকথনের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করে আবু হাসানের বড় ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি শাওন এসে বলেন এখানে কে নমিনেশন নিতে এসেছে, কোন সাংবাদিক এসেছে? সাংবাদিকদের দেখে কর্কশ কন্ঠে বলেন এখানে কেন আসছেন? এছাড়াও দেখা যায় আবু হাসানের ছোট ছেলে নাকিব ও পায়চারি করেেছ। আফরোজা আকতার ও তার স্বামীর দিকে বার বার তেরে জান আবু হাসানের ছোট ভাই কলেজের পিওন হোসেন আলী।শিক্ষকা ও তার স্বামীকে আরো হুমকি দিতে দেখা যায় উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিমকেও । শিক্ষিকা আফরোজ আকতারের স্বামী বগুড়া জেলা বিএনপির নেতা শামীম রেজার সাথে ফোন কলে আবু হাসানকে বলতে শোনা যায়, আমি কমিটিতে থাকবো আমি থাকতে আর কিছু লাগবেনা, জামায়াত আওয়ামীলীগ কাউকে নমিনেশনে হাত দিতে দিবো না আমি নিষেধ করে দিয়েছি, ভোট দিলে আওয়ামীলীগ ছাড়া বিএনপির কেউ হতে পারবেনা আমি জানি, তফছিল ঘোষনা সিষ্টেম মোতাবেক করা লাগবে তাই। মনোনয়ন জমাদান কারি শিক্ষিকা আফরোজা আকতার বলেন আমি গত দুই দিন যাবত ফরম উঠানোর জন্য এসেছিলাম কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমাকে ফরম দেয়নি আজকে অনুরোধের পর দিলেও স্থানীয় নেতা আবু হাসান তার দুই ছেলে এবং ছোট ভাই কলেজের পিওন হোসেন আলীসহ আরো কিছু শিক্ষক জমা দিতে দেয়নি, শুধু তারাই জমা দিয়েছে যারা বাছাইকৃত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন আমিও শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ফরম উঠাতে গিয়েছিলাম কিন্তু বহিরগতদের হুমকির কারনে ফরম না উঠিয়ে চলে এসেছি। ফরম জমাকারি শিক্ষক রেজাউল হক বলেন সমোঝতা করেই তিনজন সিলেকশনের মাধ্যমেই নির্বাচিত হবে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনামুল হক বলেন সমোঝতার বিষয়ে শিক্ষকরা জানে আমি জানি না আর কাউকে মনোনয়ন জমা দানে বাঁধা প্রদান করা হয়নি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন।