আদমদীঘিতে গাড়ি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করলেন আওয়ামী লীগ নেতা

মোঃ এরশাদ আলী প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী , ২০২৫ ২৩:১৬ আপডেট: ২৫ জানুয়ারী , ২০২৫ ২৩:১৬ পিএম
আদমদীঘিতে গাড়ি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করলেন আওয়ামী লীগ নেতা
বগুড়ার আদমদিঘীতে শিবপুর গ্রামে যাওয়া আসার রাস্তায় বাসের বেড়া দিয়ে প্রতিবেশীদের চলাচল পথ বন্ধ করে দিয়েছে সাইফুল ইসলাম প্রামানিক।

বগুড়ার আদমদিঘীতে শিবপুর গ্রামে যাওয়া আসার রাস্তায় বাসের বেড়া দিয়ে প্রতিবেশীদের চলাচল পথ বন্ধ করে দিয়েছে সাইফুল ইসলাম প্রামানিক। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় দশ থেকে পনের পরিবার যানবাহন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় বর্তমান চরম বিপাকে।  ২৪ জানুয়ারি সকালে সর জমিনে গিয়ে দেখা যায়,বগুড়ার আদমদিঘীর শিবপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়, সরকারি  ইট সোলিং এর রাস্তায় বাসের খুটি দিয়ে পথরোধ দেয় প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম  তিনি দাবি করে কালবেলাকে বলেন দশ ফিটের পুরো রাস্তার জায়গাটি আমার গত বারো বছর যাবত আমরা রাস্তা দিয়ে আসছি বর্তমানে আমরা আর দিতে পারবো না রাস্তায় গাড়ি যাওয়া আসা করলে আমাদের কাঁচা ঘুমের ক্ষতি হয় এবং গাড়ির চাকা দেয়ালে ঘষা লেগে আমাদের বাড়ির দেয়ালটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আদমদীঘি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ হারুনুর রশিদ জানান সরকারী রাস্তায় সে কখনো খুঁটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে পারে না। এ ব্যাপারে দুই পক্ষকে বলেছি  গ্রামের লোকজন নিয়েবসে একটা সমাধান করা হবে। প্রতিবেশী ভুক্তভোগী রেজাউল জানান জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন বাজার ও মেলায় দীর্ঘদিন যাবত শ্যালো মেশিন চালিত ভ্যানে করে চটপটি ও ফুচকা বিক্রয় করে আসছি, গতকয়েক দিন যাবত আমাকে নিষেধ করে আসছে আপনি এই  সরকারী রাস্তা দিয়ে ভটভটি চালু করে নিয়ে আর যাওয়া আসা করবে না আমাদের ঘুমেন ক্ষতি হয়। তার কথা না শোনায় রাস্তার মাঝে বাঁশের খুটি দিয়ে দেয় আদমদিঘী ৫-নংওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি, জেমস ও তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম । এ সময় তামিম হোসেন বলেন তারা বেড়া দেয়ার সময় আমরা তাদেরকে নিষেধ করি কিন্তুু ওরা আমাদের কথা শুনলেন না পরে আমরা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মুরব্বিদের ডেকে নিয়ে আসি। তাদের কথাও অমান্য করে গায়ের জোরে আর ও খুটি বারিয়ে দেয়। এ সময় প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম বলেন  আমাদের ইট সলিং সরকারী রাস্তায় সাইফুল ও তার ছেলে বেড়া দিয়ে অন্যায় কাজ করেছে।চলাচলের রাস্তায় খুঁটি দিয়ে প্রতিবেশীর চলাফেরার পথ বন্ধ করে দেওয়াই চারিদিকে হইচই পড়ে গেলে, সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া সংবাদ কর্মীদের, মুঠোফোনে সাইফুলের ছেলে আদমদীঘি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জেমস,বলেন আপনি সাংবাদিক হন আর ডিসি হন আপনার মত সাংবাদিক দুই- চারটা আমারও আছে বলে তিনি সংবাদ কর্মীর উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ বিষয়ে আদমদীঘি নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন,রাস্তা বন্ধের ব্যাপারে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo