আটঘরিয়ার ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে দুই উপজেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল , ২০২৫ ১৩:২৭ আপডেট: ১৩ এপ্রিল , ২০২৫ ১৩:২৭ পিএম
আটঘরিয়ার ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে দুই উপজেলা

গতকাল ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ১নং গেদুড়া ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামের বিভৎস্য ঘটনার জেরকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পরে রাণীশংকৈল উপজেলার ১নং ধর্মগড়(কাউন্সিল বাজার ও চেকপোস্ট বাজারে) ও ৬ নং কাশিপুর(বটতলী) এ জাতিগত দাঙ্গা সৃষ্টিতে তৎপর চিহ্নিত একটি মহল ও পতিত ফ্যাসিজমের কিছু গুপ্তচর।

আজ ১২ এপ্রিল'২০২৫ রাত আনুমানিক ০৭:৩০ টায় বটতলী বাজারে দুজন নিরীহ পথচারী মোহাম্মদ নামাজ আলী ও আনসারুলকে পথরোধ করে বাইক ছিনিয়ে
নিয়ে উপর্যুপুরী আঘাত করে বিক্ষুব্ধ জনতার নামে আড়ালে
থাকা উচ্ছৃংখল আওয়ামী লীগ ও তাদের চিহ্নিত দোসররা। 

আনুমানিক ০৮:৩০ টায় জেলা বিএনপি'র প্রতিনিধি পরিচয়  
দিয়ে একটি গ্রুপ গেলে তাদের লাঞ্চিত ও মারধর করে।এ সময় রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক মো: আফাজউদ্দিন উপস্থিত থেকেও কোন ভুমিকা রাখতে ব্যর্থ হউন। এ সময় র‍্যাবের টীম উপস্থিত থাকলেও নীরব দর্শকের ভুমিকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

দু'জন নিরীহ মানুষকে আটকে রাখার খবর শুনে ছুটে যান ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজালাল জুয়েল সহ একটি প্রতিনিধি দল।

এ সময় তার গাড়ীতেও হামলা করার জন্য ধেয়ে আসে
উচ্ছৃংখল দোসর'রা। কিন্তুু উনি গাড়ী থেকে নামলে তাকে চিনতে পেরে সম্মিলিত জনতার উদ্দ্যশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জামায়াত নেতা মাওলানা জসিম উদ্দিন,মাওলানা সেকেন্দার আলী ও আজগর আলী  
সহ স্থানীয় নেতৃবর্গ।আটকে রাখা ব্যক্তিদ্বয়কে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও তাদের ব্যবহৃত বাইকটি উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

বটতলী ও কাউন্সিল বাজারের পরিস্থিতি শান্ত দেখে ফিরে আসার পথেই চেকপোস্ট বাজারে জড়ো হতে থাকে তথাকথিত আওয়ামী দোসররা। 

হাজার হাজার জনতাকে মাইকে ডেকে জড়ো করেন
পরিকল্পত ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আওয়ামী নেতা শফিকুল ইসলাম মুকুল চেয়ারম্যান ও মোকসেদ আলী মাস্টারের নির্দেশে কিছু যুবক ও যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। কিছু বুঝে উঠার আগেই চেকপেস্ট বাজারে মিছিল করে উত্তেজনা সৃষ্টি ও চিহ্নিত কিছু দোকানে ভাংচুর চালায়। লুট করার পরিকল্পনা করলেও থানা প্রশাসন ও বিজিবি সদস্যরা দ্রুততম সময়ে পৌঁছলে রক্ষা হয় ব্যবসায়ীদের দোকান। 

এরই মাঝে দ্রুততম সময়ে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান, এএসসপি সার্কেল ও অফিসার ইনচার্জ আরশেদুল হক ও ধর্মগড় বিজিবি ক্যাম্পের বাড়তি টহল টিম। 
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে উপজেলা ম্যাজিস্টেট ও নির্বাহী কর্মকর্তার বিশেষ ক্ষমতাবলে ১৪৪ ধারা জারি করলেও টানা ৪ ঘন্টার চেষ্টায়
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। 

এ সময় উপস্থিত হউন রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াদূদ বিন নূর আলিফ, যুগ্ন সম্পাদক মো: সাহাবউদ্দিন সরকার, যুগ্ন সম্পাদক বকুল মজুমদার ও নেকমরদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক মানিক সহ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
রাণীশংকৈল থেকে আসেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি 
তারেকুজ্জামান তারেক ও তার একটি দল। 

মাওলানা আব্দুল হাকিমের পক্ষ থেকে পুনরায় ছুটে যান জেলা জামায়াত নেতা মোহাম্মদ শাহজালাল জুয়েল, রাণীশংকৈল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা রজব আলী ও ছাত্রশিবির নেতা সাব্বির সহ একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখলে একপর্যায়ে শান্ত হয় পরিস্থিতি।

সবশেষে ইউএনও মহোদয়, এ এস পি সার্কেল, অফিসার ইনচার্জ,বিজিবি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আটককৃত বাইক, ১জোড়া গরু ও একটি গিটি ভাংগা গাড়ী
স্ব-স্ব মালিককে বুঝিয়ে দেয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক
রেখে স্থান ত্যাগ করলেও আগামী ৪৮ ঘন্টা ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে ঘোষনা করেন রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন।

জনস্বার্থে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে চিহ্নিত এ গোষ্টীর মূল দোসরদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা। তবে হরিপুর ও রাণীশংকৈলের ২জন পৃরভাবশালী স্বার্থান্বেসি বিএনপি নেতার নামও উঠে আসে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরও প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী উঠেছে ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo