চাটখিল উপজেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
সরেজমিনে গিয়ে এবং খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, চাটখিল পৌরসভা সহ ৯টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সড়ক ও জনপদের চাটখিল-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যতিত প্রায় সকল সড়কে পানি উঠে গেছে। অনেকের ঘরে এক-দুই ফুট পানি উঠেছে। এরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয়রা তাদের কে সহযোগিতা করছে।
এতে করে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আরো ২/৩দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাটখিল ও সোনাইমুড়ী পৌরসভা সহ দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়েন গ্রামীন সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ডুবে গেছে।
কেউ কেউ সমন্বয়ক পরিচয়ে পূর্বের রাজনৈতিক হিসাব নিষ্পত্তি করতে শুরু করেছে।আবার তাদের কথার বাহিরে গেলে সাধারন ছাত্রদেরকে থানা পোড়ার মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতিসহ হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে বহু শিক্ষার্থী জানায়।
এই ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইশান ও সাইমন পরস্পর চাচাতো ভাই। তাদের উভয়ের বাবা প্রবাসী। শুক্রবার তারা উভয়ে বাড়ির সামনে রাস্তার উপর খেলাধুলা করছিলো। পরবর্তীতে তারা ঘরে ফিরে না যাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাদের খুঁজতে থাকে।
বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে আনিতাশ পেট্রোল পাম্পের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা যুব দলের সভাপতি জহির উদ্দীন বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যডভোকেট আবু হানিফ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সদস্য সচিব শাহাজান রানা, পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক দেওয়ান শামছুল আরিফিন শামিম ও সদস্য সচিব এহসানুল হক মাসুদ।
একই সঙ্গে তার গুদাম ঘর সিলগালা করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত মঙ্গলবার রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মনু ব্যবসায়ীর গুদামে দুইশত বস্তা ভারতীয় চিনির সন্ধান পায়। এবিষয়টি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমান কে অবগত করেন।
এই ঘটনার পর অদ্যবধি চাটখিল থানা পুলিশ শূন্য থানার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। থানা পাহারা দিচ্ছে আনসার ও সেনাবাহিনী সদস্যরা। ( ১২ আগস্ট) সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান খান, দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন, চাটখিলে দায়িত্বে থাকা মেজর তানভীর হোসেন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক থানায় পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়িতে থাকা লোকজনকে ভয় দেখিয়ে বের করে এনে ভিতরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং বাহিরে ব্যাপক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পৌঁছার পূর্বে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থল পৌঁছে আগুন নিভাতে সক্ষম হয় ।