৪০শা,খেয়ে হাসপাতালে ১৫০,শতাধিক মানুষ।

মোস্তক আহম্মেদ বাবু প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৫ ১৮:২৪ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৫ ১৮:২৪ পিএম
৪০শা,খেয়ে হাসপাতালে ১৫০,শতাধিক মানুষ।
রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলায়,চল্লিশা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন১৫০/২০০জন,গ্রামবাসী মঙ্গল বার দুপুর,১২টাপর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষ হাসপা- তালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

 রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলায়,চল্লিশা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন১৫০/২০০জন,গ্রামবাসী মঙ্গল বার দুপুর,১২টাপর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষ হাসপা- তালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনেরা জানান,রোববার সকালে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী রিফাইত-পুর গ্রামের ইজিবাইক চালক বেলালের মায়ের চল্লিশা (মজলিস) ছিল। সেখানে তার স্বজন,ও এলাকাবাসীসহ,প্রায় এক হাজার মানুষ অংশ নেন। মজলিস খাওয়ার পর ওইদিন মধ্যরাত থেকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকে প্রাথমিকভাবে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায়,পরদিন সোমবার সকাল থেকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকেন। অসুস্থ হওয়া রোগীরা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল,পার্শ্ববর্তী ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,সহ অনেকেই স্থানীয়ভা- বে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এবং গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের, মেঝেতে চিকিৎসাধীন আব্দুল হাই,মিম আক্তার দম্পতি বলেন,দাওয়াত খাওয়ার পর মাঝরাত থেকে দুজনের ডায়রিয়া শুরু হয়। আমাদের আরও অনেক আত্মীয়ও লোকজন এখানে চিকিৎসাধীন কোথায় আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোঃ সাদা মিয়া,খালেদা আক্তার, সাইফুল ইসলাম সহ,আরও অনেকে বলেন,কারও মধ্যরাত থেকে ডায়রিয়া,ও বমি শুরু হয়।আবার কারও সকাল,ও দুপুর থেকে শুরু হয়। এর মধ্যে শিশুদের অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। অন্যদিকে,গাইবান্ধা হাসপাতাল ও ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে,সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮৯ জন বিভিন্ন বয়সী রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে গাইবান্ধা হাসপাতালে১২৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থায় রয়েছেন। এবং তার মধ্যে ৫১জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। উল্লেখো যে- অন্যদিকে ফুলছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার দুপুর১২টা পর্যন্ত ৬৫ জন রোগী চিকিৎসা -ধীন রয়েছেন এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবন- তি হওয়ায়,তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং বাকি রোগী গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ আরিফা খানম বলেন। খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। এখন তাদেরকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সোমবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত রোগীরা আসছেন। সবাইকে চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে-ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুজ্জামান বলেন মজলিসের আটার ডাল খেয়ে তারা অসুস্থ হয়েছেন। আমরা স্বল্প জনবল দিয়ে তাদেরকে আমরা সাধ্যমত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুইজনকে রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo