হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি নিহত

কামরুজ্জামান বাবু প্রকাশিত: ২১ মে , ২০২৪ ০৭:৩৫ আপডেট: ২১ মে , ২০২৪ ০৭:৩৫ এএম
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি নিহত
১৯ অক্টোবর ইরানে ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটানা। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি , পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়ান , আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি, চিফ সিকিউরিটি ,পাইলট, কো-পাইলট, বডিগার্ডসহ, মোট ৯জন আরোহী বহনকারী হেলিকপ্টার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার স্বীকার হয় ।এতে হেলিকপ্টারের সকল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে ।

১৯ অক্টোবর ইরানে ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটানা। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি , পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়ান , আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি, চিফ সিকিউরিটি ,পাইলট, কো-পাইলট, বডিগার্ডসহ, মোট ৯জন আরোহী বহনকারী হেলিকপ্টার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার স্বীকার হয় ।এতে হেলিকপ্টারের সকল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে ।

এ ঘটনায় শুধু ইরান নয় পুরো বিশ্ব হতবাক । মুসলিম বিশ্ব তো বটেই । বিশ্বের এক মাত্র রক্ত সন্ত্রাসী মানবতাবিরোধী ইসরায়েল ও তার মিত্র ছাড়া ইরানকে পছন্দ অপছন্দ মিত্র শত্রু সকল রাষ্ট্রই এমর্মান্তিক ঘটনায় হতবাক ।

ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন ইসরায়েল ফিলিস্থিনির নারী শিশুসহ প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ হত্যা করেছে । যা আজও চলমান ।এ হত্যাকান্ডের সাথে ফিলিস্থিনিবাসীর লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহারা ও প্রয়োজনীয় খাদ্য পানি ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত । তাদের ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র, সরকারি বেসরকারি স্থাপনা মাটির সাথে মিশিয়ে সামরিক যান চলাচলের রাস্তা ও ভবিয্যৎ ইসরায়েল বসতি বানানোর মহা পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃত ভাবে যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে ।যা আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতির সীমালঙ্ঘন ।

নিরিহ ফিলিস্থিনির এমন অসহায়ত্ব ও বেঁচে থাকার অধিকার এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্থিনি রাষ্ট্রের জন্য মধ্যপ্রাচ্যও নড়েচড়ে বেসেছে। যার অন্যতম ভূমিকা বিশ্ব দেখেছেন প্রেসিডেন্ট রাইসির মধ্যে । তাই মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে চলছে নানান হিসেব নিকাশ ও চরম উত্তপ্ত বাষ্প বায়ু। দখলদার ও মানবতা বিরোধী ইসরায়েলের লাগাম টানার কর্মপরিকল্পনা । ঠিক এমন মুহুর্তে রাইসির বিয়োগাক্তক জটিল সমিকরণ । এতে নেতানিহাহু এক দন্ড হাফ ছেড়ে বাঁচলেন ভাবতে পারেন । তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এমন হৃদয় বিদারক ঘটনার মধ্যে বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের পররাষ্ট্রনীতির কোনো পরির্তন হবেনা। এতে বুঝায় যাচ্ছে ইরান শোক সামলাবে তবে নীতি বদলাবেন না । ২০অক্টোবর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির শাহাদ্যৎ নিশ্চিত করে রাষ্ট্রিয় গনমাধ্যমে খবর প্রকাশ করলে,পুরো দেশ জুড়ে শোক বিহ্বলে যেন কিছুটা সময় ইরান থেমে যায় ।

এক বিরোচিত নেতার মহা প্রস্থান । খামেনি তখনই এক ভাষণে ইরানের জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন,তোমরা যারা শুনছ,এবং পরবর্তীতে শুনবে তাদের বলছি , প্রেসিডেন্ট রাইসির শাহাদ্যৎ বরণে রাষ্ট্র পরিচালনায় কোনো প্রভাব পরবেনা । উল্লেখ্য প্রেসিডেন্ট রাইসি ছিলেন তুখোড় মেধাবি আত্মবিশ্বাসী ও চৌকস প্রেসিডেন্ট । তাঁর সাহসিকতার কাছে ইসরায়েলসহ পশ্চিমা বিশ্ব গুনে গুনে পা ফেলতেন । তাঁর সম্মানে ইরান ৫ দিন ও তুরস্ক ৩দিনের শোক ঘোষণাসহ সারা বিশ্ব থেকে শোক প্রকাশ করেছেন । তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বন্ধু রাইসিকে হারিয়ে দুর্ঘটনার তদন্ত করতে চায় । অন্যদিকে ইসরায়েল বলছেন ,আমাদের হাত নেই রাইসির মৃত্যুতে । তবে জল্পনা কল্পনা আর নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছ , কারণ রাইসির হেলিকপ্টারটা ছিল আমেরিকান ।

কে হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ধর্মীয় নেতা খামেনি ।এর পরের স্থান প্রেসিডেন্ট । ইরানের নিয়ম অনুসারে প্রেসিডেন্ট মারা গেলে ভাইস প্রেসিডেন্ট অন্তর্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন । এবং ৫০দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণ নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন। তাই ইরানের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারেরকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ।

ইরানের সীমান্তবর্তী আজারবাইজানের একটি জলাধার উদ্বোধন শেষে ফিরছিলেন ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo