জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনেরটোর বা আইপিএস ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ছটফট করতে থাকে রোগীরা।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনেরটোর বা আইপিএস ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ছটফট করতে থাকে রোগীরা।
এতে চরম বিপাকে পড়েন সেবা নিতে আসা হাসপাতালের ভর্তিকৃত রোগী ও স্বজনেরা। প্রতিনিয়ত এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। তবুও এ নিয়ে কারো নেই মাথা ব্যাথা। সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে জেনেরটোর বা আইপিএস ব্যবস্থা চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
জানা গেছে, শনিবার (২৫ মে) সকাল ৭টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন উপজেলায় পল্লীবিদ্যুৎ সংযোগের রক্ষণাবেক্ষণ মেরামত কাজের জন্য প্রায় আট ঘন্টা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকেরা বিদ্যুৎতের সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় বিপাকে পরেছেন গ্রাহকেরা।
এদিকে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষসহ প্রাণিকূল, তখন পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় বেডে গরমে ছটফট করছিলেন নারী পুরুষ রোগীরা। হাসপাতালে দীর্ঘ আট ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় আরো বেশি অসুস্থ পরেছেন রোগীরা। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কিছু জটিল রোগের আক্রান্ত রোগীরা চরম গরমে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে, এদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ গর্ভবতী মা, মাতৃত্বকালীন মা, সকল ধরনের রোগী রয়েছেন। তবে সরকারি হাসপাতালে বিদ্যুৎতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষুদ্ধ রোগীরা।
পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো.সাইদুর রহমান বলেন, ন্যাশনাল গ্রীডের সমস্যার কারনে সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলমান ছিল। একারনে উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তবে উপজেলাবাসী যাতে বিপাকে না পড়েন একারনে গতকালকেই উপজেলায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে।
পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তানসিফ জুবায়ের বলেন, হাসপাতালে আবাতত জেনেরটোর বা আইপিএস ব্যবস্থা নেই, তবে আগামী ১/২ মাসের মধ্যে আইপিএস পাওয়ার কথা আছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।