৯ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
৯ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জোরালো অবস্থান নিয়ে ‘ হাজী দানেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ( হাকসু) নির্বাচন দিতে হবে, দিয়ে দাও, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের অবৈধ নিয়োগ বাতিল চাই করতে হবে, ক্রেডিট ফি কমাতে হবে’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিগুলো হলো ১. দ্রুত ছাত্র সংসদের নীতিমালা প্রণয়ন করে হাকসু নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করতে হবে, ২. অবিলম্বে ক্রেডিট ফি ৭৫-৮০ টাকা করে নোটিশ জারি করতে হবে, ৩. সেশনজট নিরসনে রোডম্যাপ দিতে হবে এবং বাস্তবায়নের জন্য জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে, ৪. মুজিব কর্নারকে জব কর্নার করে চাকরির বিভিন্ন বই দিতে হবে, ৫. আগামীকাল থেকে গোপালগঞ্জে(বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী বাজার) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্টপেজ করতে হবে, ৬. অবিলম্বে হামলাকারীদের বিচার করতে হবে, ৭. টিএসসি থেকে ব্যাংক অপসারণ করতে হবে, ৮. অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে ও ৯. শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট নিরসনের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। দুপুর দেড়টায় হাবিপ্রবি ভিআইপি কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের সাথে উপাচার্যের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে আন্দোলনকারীরা সুনির্দিষ্ট সময় জানতে চান এবং সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপের জোর দাবী জানান। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখছি আগষ্ট আন্দোলনের হামলাকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব নানারকম দাবি-দাওয়া অতি গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু হাবিপ্রবিতে ঠিক উল্টো চিত্র । আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরব।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. এস এম এমদাদুল হাসান বলেন, ‘আমরা মনে করি দাবিগুলো যৌক্তিক এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মানউন্নয়নের লক্ষ্যেই সম্পৃক্ত। আমরা যতদ্রুত সম্ভব তাদের দাবিগুলো সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ ফিরিয়ে আনব।’ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে লিখিত আশ্বাস না আসা পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করবেন না।