সাভারে ডি বি পুলিশের অভিযানে দুই দিনের শেষে হাড়গোড় ও মাথার খুলি উদ্ধার

রফিকুল ইসলাম জিল্লু প্রকাশিত: ১৩ জুন , ২০২৪ ০৮:১৯ আপডেট: ১৩ জুন , ২০২৪ ০৮:১৯ এএম
সাভারে ডি বি পুলিশের অভিযানে দুই দিনের শেষে হাড়গোড় ও মাথার খুলি উদ্ধার
আজ দুপুর ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে সাভার আনন্দপুর সিটিলেন এলাকার মাদক সম্রাট স্বপনের দ্বিতল বাড়ির নিচতলা খুঁড়ে লাশের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল দুপুর থেকে চলমান অভিযান রাতে বিভিন্ন কারনে স্থগিত করে পুলিশি পাহাড়া বসানো হয়। আজ দুপুর থেকে আবার অভিযান শুরু করে ডিবি পুলিশ।

সাভারে শীর্ষ মাদক কারবারি স্বপণনের একটি বাড়িতে লাশের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান শুরু করার প্রায় তিন ঘন্টা পর যুবকের মাথার খুলি, হাত ও পায়ের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এঘটনায় মাদক সম্রাট স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ দুপুর ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে সাভার আনন্দপুর সিটিলেন এলাকার মাদক সম্রাট স্বপনের দ্বিতল বাড়ির নিচতলা খুঁড়ে লাশের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল দুপুর থেকে চলমান অভিযান রাতে বিভিন্ন কারনে স্থগিত করে পুলিশি পাহাড়া বসানো হয়। আজ দুপুর থেকে আবার অভিযান শুরু করে ডিবি পুলিশ। 

মাদক কারবারি স্বপন সাভার পৌরসভার ইমান্দিপুরের শাহজাহানের ছেলে। তার সাভারের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। সে সাভারে চিহ্নিত মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত। 

সাভারের আনন্দপুর সিটিলেন এলাকার স্বপনের দ্বিতল বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির প্রবেশ পথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বাহিরে উৎসুক জনতা ভীড় করলেও ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৮ ফুট মাটি খুড়ে লাশের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।

ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন আগে একটি হত্যাকান্ডের তদন্ত করতে স্বপনের সহযোগী সাইফুল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিরুলিয়ার বাড়ির পাশ থেকে সীমা বেগমের মরদেহ মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুলহোতা স্বপনকে গ্রেপ্তার করে তার সাভারের বাড়ির নিচতলার মেঝের নিচে পুঁতে রাখা লাশের তথ্য পায় পুলিশ। সেই লাশের সন্ধানে গতকাল থেকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আজ বিকেল ৫ টার দিকে লাশের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে ১৪ মাস আগে নিখোঁজ হওয়া সাভার পৌরসভার ইমান্দিপুরের সেলামত মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন ওরফে টোনোর লাশের হাড়গোড়। 

নিহতের চাচা বরকত মিয়া  বলেন, আমার ভাতিজা টোনোকে স্বপন হত্যা করে পুতে রেখেছিল। হাড়গোড়ের পাশ থেকে আমাদের টোনোর জামাকাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমরা নিশ্চিত হয়েই বলছি এসব কাপড় আমার ভাতিজার। 

ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন,  আমরা তথ্য অনুযায়ী আজও তল্লাশি করি। বিকেল ৫ টার দিকে লাশের মাথার খুলি ও হাড়গোড় পাওয়া যায়। তবে এটি কার লাশ ছিল তা তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, ১৪ মাস আগে নিখোঁজ হওয়া তোফাজ্জল হোসেন ওরফে টোনো। গত বছরের ২১ এপ্রিল তারিখে নিখোঁজের বাবা সেলামত মিয়া বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর আগে গত বছরের ১ঌ এপ্রিল বাসার পাশ থেকে নিখোঁজ হয় তোফাজ্জল।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo