শেরপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করায় বিপাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

মোঃ মানিক মিয়া প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট , ২০২৪ ১৪:১২ আপডেট: ১৮ আগস্ট , ২০২৪ ১৪:১২ পিএম
শেরপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করায় বিপাকে  শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খাড়ামোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চাল্য বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় খাড়ামোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বাঁশের খুটির বেড়া ও সুপারি গাছ লাগিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে জমরি মালিক পক্ষ। গত ৬ আগস্ট জমির মালিক একই গ্রামের কোমর আলী (৫০) ও তাঁর পরিবারের লোকজন মিলে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।

শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশের রাস্তায় খুটি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বেকায়দায় পড়েছেন।

উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খাড়ামোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চাল্য বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় খাড়ামোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বাঁশের খুটির বেড়া ও সুপারি গাছ লাগিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে জমরি মালিক পক্ষ। গত ৬ আগস্ট জমির মালিক একই গ্রামের কোমর আলী (৫০) ও তাঁর পরিবারের লোকজন মিলে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।

এতে করে বিপাকে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে এলাকার ইউপি সদস্য সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকাবার বৈঠক করেও কোন মিমাংসা করতে পারেনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সূত্রে জানা যায় ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। ইতিমধ্যেই ওই বিদ্যালয়ের জন্য একটি নতুন ভবন বরাদ্দ পেয়েছে।

ঠিকাদার নতুন ভবনের কাজ করতে গেলে রাস্তা বন্ধ করে দেয় জমির মালিক কোমর আলী। এনিয়ে এলাকার লোকজন বসলে কোমর আলী রাস্তার জায়গার জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় বাঁশ, খুটি ও সুপারি গাছ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। এব্যাপারে কোমর আলী বলেন, রাস্তার জায়গাটি আমার। তাই বন্ধ করে দিয়েছি।ঠিকাদার শহিদ মিয়া বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মালামাল নিয়ে যাওয়ার আর কোন রাস্তা নাই।

তাই সুযোগ বুঝে জমির মালিক ১০ লাখ টাকা দাবি করছে। যা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না।স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু জমির মালিক মূল্যের চেয়ে কয়েকগুন অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে। যা বিদ্যালয়ের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অবগত রয়েছি। স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাবের আহমেদ বলেন, রাস্তা বন্ধের খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo