বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে পুজি করে এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর গত ৬ আগস্ট সারাদেশের ন্যায় লোহাগাড়া থানা ও উপজেলা পরিষদ পুড়িয়ে ধ্বংশস্থুপে পরিণত করে দূর্বৃত্তরা।
১২ আগস্ট (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় থানা এবং উপজেলা পরিষদ পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।উপজেলা পরিষদ পরিদর্শনে আসার পূর্বে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের কৃতিসন্তান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ ইশমামুল হকের বাড়িতে যান।
এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন। অতি শীঘ্রই তার এলাকায় চলাচলের রাস্তাটি শহীদ ইশমামের স্মৃতি ধারণের জন্য শহীদ ইশমামুল হক সড়ক নামকরণে কাজ শুরু করার ঘোষণা দেন।পর জেলা প্রশাসক উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তর এবং লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জের অফিসসহ বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেছেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, এধরণের অগ্নিসংযোগের কাজে কোন শিক্ষার্থী জড়িত ছিলনা। সুষ্টু তদন্ত করলেই জড়িতের বের করা সম্ভব।পরিদর্শণকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, ইউএনও ইনামুল হাসান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল, লোহাগাড়া থানার ওসি মোঃ রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমীর আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদি, আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজি নুরুল আলম, বিএনপি নেতা আবুল হাশেম ও সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন ।
ফাহাদ ইবনে হাশেম 
