ঈদুল আজহা সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরও রায়পুর উপজেলা কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ার কারনে দাম নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত বিক্রেতারা। এ বছর হাটগুলোয় কোরবানির গরু-ছাগলের পাশাপাশি মহিষের সরবরাহও বেড়েছে অনেক, তবে হাটগুলোয় জাল টাকা নির্ণয়ের কোনো প্রস্তুতি দেখা যায়নি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর দুই হাজার ৪৩৯টি খামারে ৯৮ হাজার গরু দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করেছেন খামারিরা।
পৌর শহরের গরু বাজারের ব্যবস্থানার দ্বায়িত্ব প্রাপ্তগণ জানান, গরু সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমতির দিকে বলে মনে করছেন অনেকে। আর সেই শঙ্কা নিয়ে গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা হাটে গরু রাখার নির্দিষ্ট জায়গা পূরণ হয়ে গেছে। ফলে আশেপাশের সড়ক ও খালি জায়গায় কোরবানির পশু রাখছেন ব্যাবসায়ীরা। বেশি গরু ওঠায় ইজারাদাররা খুশি থাকলেও ব্যাপারীরা নেই স্বস্তিতে।
জেলার কোরবানির পশুর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৩২টি পশুর হাটের ইজারা অনুমতি থাকলেও জেলায় অস্থায়ীভাবে শতাধিক হাট বসেছে। প্রতিটি হাটে কোরবানি ও বিক্রির উপযোগী গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ নিয়ে খামারি, ব্যাপারী ও বিক্রেতারা ভিড় করছেন। মুনাফার আশায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চড়া দামে গরু কিনে এনে আশানুরূপ লাভে বিক্রি করতে পারছেন না বলে জানান ব্যাবসায়ীরা ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, কোরবানির পশুও তত বেশি বাড়ছে। বিভিন্ন গ্রামের পশু পালনকারীরা তাদের পালন করা উন্নত জাতের পশু নিজ এলাকায় বিক্রি না করে বেশি লাভের আশায় জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
দিনাজপুর থেকে গরু ব্যবসায়ী জাকির মিয়া এক ট্রাক কোরবানির পশু নিয়ে লক্ষ্মীপুর এসেছেন। তিনি জানান, মুনাফা তো দূরে থাক, যে টাকা দিয়ে কৃষকের কাছে গরু কিনেছেন, সে টাকা তুলতে পারবেন কি না সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি, আড়াই লাখ টাকা দামে কৃষকের কাছ থেকে যে গরু কিনেছেন, এখানে ক্রেতারা তার দাম হাঁকাচ্ছেন মাত্র এক লাখ টাকা।
পৌর পশুর হাট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির হাট পৌর পশুরহাটে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহীনি ছাড়াও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে বাজার গুলো, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ রাখা হয়েছে। কোরবানির পশু কেনাবেচা এখন কম হলেও সপ্তাহের শেষ দিকে বাড়বে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কুমুদ রঞ্জন মিত্র জানান, সব পশুর হাটে প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। এ বছর চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর মজুদ বেশি রয়েছে বলেও তিনি জানান।