যশোর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার সাঙ্গুপাঙ্গুরা এদেশের রয়ে গেছে। দেশ নিয়ে তারা ঘৃণ ষড়যন্ত্র করছে, তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। যে কোন মূল্যে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ঘৃণ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
যশোর সদর উপজেলা মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন আক্তার বিলকিসসহ পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সদর উপজেলা মহিলা দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার বিকেলে উপশহর বি-বøক বাজারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, বিগত দিনে ঘৃণীত শেখ হাসিনার অবৈধ শাসন আমলে আমরা কেউ নিরাপদ ছিলাম না। প্রতিটি মুহুর্তে প্রাণহানির আশংকায় ছিলাম। দেশের নারীদেরও প্রতিনিয়ত নানা ভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। আপাতত সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটলেও, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন স্থানে বিচারণ করছে।
তাদের হাতে অনেক অবৈধ অস্ত্র আছে, যা উদ্ধার হয়নি। তারা আবারও সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। এবারের কোটা বিরোধী আন্দোলনে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের অংশ গ্রহণ ছিল বিস্ময়কর। এই সমবেত শক্তিকে ধরে রেখে আগামীতে দেশের যে কোন অপশক্তিকে রুখে দিয়ে দেশ থেকে চিরতরে স্বৈরাচার ,ফ্যাসিজম উৎখাত করে একটি ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাল্লাহ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন ও সদস্য মিজানুর রহমান খান। সদর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হাসিনা ইউসুফের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপশহর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হোসেন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, যুবদল নেতা বুলবুল চৌধুরী, নগর মহিলা দলের সভাপতি শামসুন্নাহার পান্না, সদর উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা মোস্তফা, মহিলা দল নেত্রী শাহনারা পারভিন, আনোয়ারা বেগম, রিজিয়া পারভিন প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন, সদর উপজেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিনা পারভিন শেলী ও মহিলা দল নেত্রী সুফিয়া মাহমুদ রেখা। পরে মহিলা দল নেত্রীবৃন্দ সন্ত্রাসীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।