যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ ৫ জুন

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৯ মে , ২০২৪ ০৬:০৭ আপডেট: ২৯ মে , ২০২৪ ০৬:০৭ এএম
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ ৫ জুন
উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণের স্থবিরতা শেষ হয়েছে। আগামী ৫ জুন উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ হবে। মঙ্গলবার সদর উপজেলা নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদের সাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। এর আগে, তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহারুল ইসলামের মামলার জেরে গত ২৩মে বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন এই উপজেলার নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয়। নির্বাচন স্থগিতের খবর ছড়িয়ে পড়লে ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দেয়।

উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণের স্থবিরতা শেষ হয়েছে। আগামী ৫ জুন উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ হবে। মঙ্গলবার সদর উপজেলা নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদের সাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। এর আগে, তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহারুল ইসলামের মামলার জেরে গত ২৩মে বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন এই উপজেলার নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয়। নির্বাচন স্থগিতের খবর ছড়িয়ে পড়লে ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দেয়।

পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সকল পদের নির্বাচন যে পর্যায় থেকে স্থগিত করা হয়েছিল সেই পর্যায় থেকে শুরু করে আগামী ৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এই পত্র পাওয়ার পর আগামী ৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন রিটার্নিং অফিসার। ওইদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুর রশীদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহারুল ইসলামকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে যে পর্যায় থেকে স্থগিত করা হয়েছে সেই পর্যায় থেকে শুরু করে আইন ও বিধি মোতাবেক ভোট গ্রহণ করার নির্দেশ পেয়েছি। ভোট গ্রহণে আর কোনো বাধা নেই।’

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরপর একটি পদে থেকে আরেকটি পদে নির্বাচন করা যাবে না উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেননি বলে দাবি করেন তিনি। এ কারণে তিনি তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করতে হাই কোর্টে রিট পিটিশন করেন। যার রিট পিটিশন নম্বর ৫৫৭৫/২০২৪। এরপর গত ১৩ মে হাই কোর্ট শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিপিএলএ নম্বর ১৭১৩/২০২৪ দায়ের করলে গত ২০ মে ‘নো অর্ডার’ আদেশ জারি করে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের ওই আদেশ বাস্তবায়নে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়।  নির্বাচনে সাতজন চেয়ারম্যান, পাঁচজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহারুল ইসলামের অনুকূলে জোড়া ফুল প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo