যশোরে বিএনপির ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর , ২০২৩ ০৮:২০ আপডেট: ২৮ অক্টোবর , ২০২৩ ০৮:২০ এএম
যশোরে বিএনপির ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ধর-পাকড় করছে যশোরের পুলিশ। পুলিশ বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে বিএনপির নেতা-কর্মীর ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে । এছাড়াও যুবদলের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ধর-পাকড় করছে যশোরের পুলিশ। পুলিশ বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে বিএনপির নেতা-কর্মীর ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে । এছাড়াও যুবদলের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।


বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মধ্যে রাত থেকে যশোর সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় এই ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নেতা কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি করছে পুলিশ। বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এই দুই উপজেলায় ৪৪ জন নেতা কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এসব নেতা-কর্মীকে আটক করে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানিয়েছেন, রাজধানীতে মহাসমাবেশে না যেতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এই গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে। আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যশোর জেলা থেকে ১০ হাজার নেতা কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ নেতা কর্মী ঢাকায় চলে গেছেন। যত বাধা আসুক না কেন তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।


এ বিষয়ে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, বিএনপি নেতা কর্মীদের এ অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে তাদেরকেই মাত্র আটক করা হচ্ছে। কাউকে হয়রানি করতে গ্রেপ্তার করা হয়নি।


আটকৃতদের মধ্যে রয়েছেন যশোর সদরের চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওহাব, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক নিজামুদ্দিন মোল্লা, লেবুতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নুরুল ইসলাম, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল শেখ, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল বিশ্বাস, যশোর নগর বিএনপি নেতা কাজী ইসরাফিল, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।  এ ছাড়া নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুমসহ অন্তত ২৫ জনের বাসায় পুলিশের তল্লাশির অভিযোগ করেছেন নেতা কর্মীরা। একই সঙ্গে জেলা যুবদলের তিন নেতার বাড়িতে পুলিশের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বাড়িঘর ভাঙচুর হওয়া নেতারা হলেন জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক রাজন হাওলাদার মানিক, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সাগর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহসাধারণ জাহিদ ইসলাম শামীম।


বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত  বলেনে, অনেক নেতা কর্মীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই, অনেকেই জামিনে রয়েছেন। তারপরও তাদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ঢাকায় আমাদের মহা সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে এই গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। কিন্তু কোনোমতেই এই মহা সমাবেশ আটকানো যাবে না, মানুষ স্রোতের মতো মহাসমাবেশে যাচ্ছে, যাবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo