যশোরে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে সমাবর্তন

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১০:৫৭ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১০:৫৭ এএম
যশোরে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে সমাবর্তন
যশোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রথম বারের মতো পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ইএসএল সমাবর্তন। বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সিম্বোলিক কনভোকেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সমাবর্তনের মতো এই আয়োজন শিশুমনে বড় ধরণের প্রভাব ফেলবে। এর মধ্য দিয়ে ওরা স্বপ্ন দেখতে পারবে ভবিষ্যৎ সাফল্যের।বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আইডিয়া স্পোকেনের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম এই সিম্বোলিক ইএসএল কনভোকেশন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ছয় মাসব্যাপী আইডিয়া স্পোকেন’র তত্ত্বাবধানে যশোরের স্বনামধন্য দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০০ জন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে খেলতে খেলতে ইংরেজি শিখেছি। তার সমাপনী হিসেবে এই মহা আয়োজনে দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

যশোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রথম বারের মতো পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ইএসএল সমাবর্তন। বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সিম্বোলিক কনভোকেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সমাবর্তনের মতো এই আয়োজন শিশুমনে বড় ধরণের প্রভাব ফেলবে। এর মধ্য দিয়ে ওরা স্বপ্ন দেখতে পারবে ভবিষ্যৎ সাফল্যের।বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আইডিয়া স্পোকেনের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম এই সিম্বোলিক ইএসএল কনভোকেশন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ছয় মাসব্যাপী আইডিয়া স্পোকেন’র তত্ত্বাবধানে যশোরের স্বনামধন্য দশটি  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০০ জন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে খেলতে খেলতে ইংরেজি শিখেছি। তার সমাপনী হিসেবে এই মহা আয়োজনে দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।


যশোর শিল্পকলা একাডেমি থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় সমার্তন উৎসবের। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কনভোকেশন হ্যাট মাথায় দিয়ে উচ্ছ্বাস ভরা মুখে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এরপর ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আয়োজন এর সূচনা হয়।অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো.মশিউর রহমান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিতর্কে অংশ নেওয়া সকলে নিজেকে বদলে ফেলেছে। এর কারণ হলো যারা এ কাজে অংশ নিয়েছে তারা সকলে স্মার্ট হতে চায়।তবে বাঙালি জাতির মধ্যে সবচেয়ে স্মার্ট ছিলেন তিনি, যিনি ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছেন। তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সঠিক চিšত্মাধারার কারণে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ।শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান। তার অন্যতম একটি ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্মার্ট সিটিজেন। তোমরা স্মার্ট সিটিজেন হয়ে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভ‚মিকা রাখবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড মো. আহসান হাবীব, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার,একাত্তর টেলিভিশন’র চিফ করেসপন্ডেন্ট পারভেজ নাদির রেজা, দৈনিক কল্যাণের সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দৌলা, দৈনিক সমাজের কথার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আমিনুর রহমান মামুন, সিনিয়র সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা রোকনউদ্দৌলা, আইডিয়া স্পোকেন দ্য গেইম মেথড’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা সহকারী হামিদুল হক।এছাড়াও অনুষ্ঠানে যশোরের দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’র প্রতিষ্ঠান প্রধান, ইংরেজি শিক্ষক এবং অভিভাবকবৃন্দ উপ¯ি’ত ছিলেন।ছয়মাস ব্যাপী এই কোর্সে বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের পাশাপাশিই সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে শিক্ষার্থীরা যেভাবে ইংরেজি শিখেছে তা অনন্য। বাংলায় যারা কথা বলতে ভয় পেতো তারা এখন ইংরেজিতে অনর্গল বিতর্ক,উপ¯’াপনা সব-ই করে। সেই উদযাপন স্বরূপ এই সিম্বোলিক কনভোকেশন আয়োজন।


অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন বলেন, ‘ভাষা একটি মাধ্যম, নিজেকে প্রকাশ করার,নিজের সমস্যা সমাধান করার। প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র চারটি পিলারের একটি স্মার্ট সিটিজেন।আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের স্মার্ট সিটিজেন। স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে নিজের সমস্যা নিজেকে সমাধানের জন্য ভাষার বাঁধাকে পার করা অত্যন্ত প্রয়োজন।বাংলাদেশের প্রথম সিম্বোলিক ইএসএল কনভোকেশনের শুরু ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মাননা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেয় যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসফিয়া হক। ইতোপূর্বে সেমিফাইনালে বিজয়ী যশোর কালেক্টরেট স্কুল এবং সখিনা গার্লস হাই স্কুল’র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফাইনাল ডিবেট প্রতিযোগিতায় এবং যশোর জিলা স্কুল, যশোর সরকারি বালিকা উ”চ বিদ্যালয় ও সখিনা গার্লস হাইস্কুল ইংরেজিতে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেয়। পরে অনলাইন ওয়ার্ড গেইম ‘কাহুটে’ অংশ নেয় ৪০০ শিক্ষার্থী।অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যের শেষে সমাবর্তনের মতো শিক্ষার্থীরা তাদের কনভোকেশন হ্যাট’র টার্সেল বাম পাশ থেকে ডান পাশে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করে এই আয়োজন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইডিয়া স্পোকেন দ্য গেইম মেথড’র কোর্ডিনেটর নাবিলা সুলতানা এবং কো- কোর্ডিনেটর মল্লিকা আফরোজ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo