মেলায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৩০ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ৩১ মে , ২০২৫ ১৫:১৯ আপডেট: ৩১ মে , ২০২৫ ১৫:১৯ পিএম
মেলায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৩০ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার

মাদারীপুরের রাজৈরে কুম্ভমেলায় কনস্টেবলকে মারধর করে ছিনতাই হওয়া ৩০ রাউন্ড শর্টগানের বুলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ মে) ভোররাতে রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি থেকে বুলেটগুলো উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গির আলম। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোররাতে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকায় গনেশ পাগল সেবাশ্রমের আয়োজিত কুম্ভমেলায় জুয়াড়িদের সাথে দুই পুলিশ কনস্টেবল মেহেদি হাসান ও জুবায়ের হাসানের হাতাহাতি করে এসময় হামলা চালিয়ে তাদের দুজনকে মারধর করে জুয়াড়িরা। একপর্যায়ে কনস্টেবল মেহেদীর সাথে থাকা সরকারি শর্টগানের ৩০ রাউন্ড বুলেট নিয়ে পালিয়ে তারা যায়। এ খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উদ্ধার অভিযানে নামেন থানা পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে মহামানব গনেশ পাগল সেবাশ্রম কমিটির সভাপতি মিরন বিশ্বাস সহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই মাদারীপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে নিয়োজিত দুই পুলিশ সদস্য মেহেদি হাসান ও জুবায়ের হাসানকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে পুলিশের কনস্টেবল মেহেদি হাসান মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে আছেন। তবে ওই ঘটনার সময় তার সাথে কতজন ছিলেন জানতে চাইলে কনস্টেবল মেহেদি কলটি কেটে দেন।

এ বিষয়ে প্রত্যাহারকৃত আরেক পুলিশ সদস্য জুবায়ের হাসানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) জাহাঙ্গির আলম জানান, শর্টগানের ৩০ রাউন্ড বুলেট পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ডকুমেন্টস গুলা রেডি হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার নেই। একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়িতে শুরু হয় প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী কুম্ভমেলা বা গণেশ পাগলের মেলা যা স্থানীয়ভাবে কামনার মেলা নামেও পরিচিত পায়। মেলাটি ৩ দিনব্যাপী হলেও চলে তা ৫ দিন পর্যন্ত। প্রতি বছরই জুয়া ও গাজার আসর বসানো এ মেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মেলায় শুধু তাই নয়, পুতুল নাচ ও যাত্রাপালার নামে চালানো হয় অশ্লীল নৃত্য।       

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo