বৃহ্স্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এর চাম্পাতলা গ্রামের চাঁন মিয়া হালাদারের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়িঘর,দোকানপাট ভাংচুর ও টাকা পয়সা লুটপাটের ঘটনা ঘটে।ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনাও ঘটেছে, এতে মহিলাসহ আহত হয়েছেন দুইজন।ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা ককটেল ও ভাঙ্গা কাঁচের বোতল উদ্বার করেছে পুলিশ।
পঞ্চসার ইউনিয়নের চাম্পাতলা গ্রামের হালদার বাড়ির মৃত চাঁন মিয়া হালদারের ছেলে বাচ্ছু হালদারের মুদি দোকানে রাত সাড়ে আট টার সময় রনছ রুহিতপুর গ্রামের মাদক সম্রাজ্ঞী শান্তির ছেলে মাদক সম্রাট বাবু ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। দোকানপাট কুপিয়ে এবং দোকানদার বাচ্চু হালদার (৬৫)কে মারধর করে নগদ ক্যাশসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়।কিছুক্ষনের মধ্যে আবার বাচ্ছু হালদারের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘর দরজা কুপিয়ে ঘরে ঢুকে কোরআন শরিফ পড়া অবস্থায় বাচ্চু হালদারের স্ত্রী নাছিমা বেগম(৫৫)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতালী কুপিয়ে টাকা পয়সা,স্বর্নালংকার নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।আহত নাছিমার চিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী বাবু তার বাহিনী নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে বাচ্চু হালদার জানায়।এলাকাবাসি আহত নাছিমা বেগমকে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের টহল ডিউটি অফিসার এস আই সজল ও এটি এস আই রাসেল ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে ভাঙ্গা কাঁচের বোতল ও একটি তাজা ককটেল উদ্বার করেছে।গনমাধ্যম কর্মীরা ও জেলার বিশেষ শাখা ডিএসবির পুলিশ সরেজমিনে যায়।বাচ্চু হালদার সাংবাদিকদের বলেন,আমার ছেলে ইমনকে মাদক সম্রাট শান্তির ছেলে মাদক সম্রাট বাবু তার সাথে মাদক বেচার প্রস্তাব দেয়,আমার ছেলে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আজকে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাবু এ হামলা চালায়।আমার দোকানপাট কুপিয়েছে,দোকানের ভিতরে ককটেল মেরেছে। আমাকে মারধর করে দোকানের ক্যাশ ভেঙ্গে নগদ টাকা পয়সা ও মালামাল লুটপাট করে।পরে আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলেকে খুজে না পেয়ে কোরআন শরিফ পড়া অবস্থায় আমার স্ত্রীকে কুপিয়েছে।বর্তমানে আমার স্ত্রী হাসপাতালে মূমর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহত বাচ্চু হালদার।