মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় সীমানা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিবেশী যুবকের ছুরিকাঘাতে চারজন আহত হয়েছে। পুলিশ একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
আটককৃত যুবকের নাম মেহেদী। সে গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের আলম মোল্লার ছেলে। গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আঃ মতিন মোল্লার(৯০) বসত বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, গিয়াস উদ্দিন(২৭), ওমর ফারুক (৪০), উভয় পিতাঃ মতিন মোল্লা (৯০)।এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, ফরহাদ (১৬), পিতাঃ ওমর ফারুক, ফারজানা বেগম (৩৭),স্বামীঃ ওমর ফারুক। এ বিষয়ে আহতদের ভাই ওয়াজ করনী বলেন, হামলাকারী আমাদের প্রতিবেশী।তাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধী নেই, কিন্তু জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আরেক প্রতিবেশীর সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এ বিষয়ে দেওয়ানী আদালতে মামলা চলমান। কিন্তু তাঁরা একে অপরের আত্নীয় হওয়ায় আমাদের প্রতি নিয়ত হামলা/মামলা চালিয়ে আসছেন। এর পূর্বে একাধিক বার হামলা করেছেন, মিথ্যা মামলাও করেছেন। আহত ওমর ফারুক বলেন, বাথরুমের টিনের বেড়া পরিবর্তনের সময় প্রতিবেশী আরিফদের সাথে কথা কাটাকাটির পর আরেক প্রতিবেশী, যাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। ফাহিম, মেহেদী ও তার সথে আরও ৮/১০ জন আমাদের বাড়িতে এসে আমার ভাই গিয়াসউদ্দিনকে ছুরি দিয়ে ঘাই মারে, আমরা এগিয়ে গেলে তাঁরা আমাদেরও এলোপাথাড়ি ঘাই মেরে জখম করে। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমকমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মুমূর্ষু অবস্থায় দুই জনকে ঢাকা প্রেরণ ও আরও ৫জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, এই বিষয়ে একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে অপরাধ স্বীকার করেছে।