চান্দিনা উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর লুট সহ অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্ৰস্থ ২৭টি দপ্তর

সোহেল রানা প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট , ২০২৪ ১৭:৪৮ আপডেট: ১৩ আগস্ট , ২০২৪ ১৭:৪৮ পিএম
চান্দিনা উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর লুট সহ অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্ৰস্থ ২৭টি দপ্তর
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে বেলা হাড়াইটার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। এদিকে রবিবার (১১ আগস্ট) রাতে পরিষদের আবাসিক এলাকায় সুরমা ডরমেটরিতে চুরির ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক এখনো কাটেনি। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের ১৩টি দপ্তরে অগিন্ডকান্ডের ঘটনা সহ ১৪টি দপ্তরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে বেলা হাড়াইটার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। এদিকে রবিবার (১১ আগস্ট) রাতে পরিষদের আবাসিক এলাকায় সুরমা ডরমেটরিতে চুরির ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক এখনো কাটেনি। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট অসহযোগের ডাক দিয়েছিলো ছাত্ররা। সেই দিন বেলা ২টার দিকে শত শত অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা চান্দিনা উপজেলা পরিষদে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা পালিয়ে গিয়ে কোন রকমে আত্মরক্ষা করেন। এদিন সহকারী কমিশনার ভূমি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, কৃষি, পরিসংখ্যান, সমাজ সেবা, প্রকৌশলী, হিসাব রক্ষক, যুব উন্নয়ন, পরিবার পরিকল্পনা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় ওই এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর সহ আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় তারা। এর আগে (৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা বাস স্ট্যান্ডে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসি ল্যান্ড এর গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা।

রবিবার (১১ আগস্ট) রাতে পরিষদের আবাসিক এলাকায় সুরমা ডরমেটরিতে ২টি গ্যাসের চুলা, পানির পাম্প, রান্না ঘরের প্লেট-বাসন সহ যাবতীয় মালামাল চুরি হয়ে যায়। দরজা, জানালা, গেইট, গ্রীলসহ বেশিরভাগ আসবাবপত্রই ইতোমধ্যে চুরি হয়ে গেছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মো. সোয়াইব জানান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও কুমিল্লার জিওসি উপজেলা পরিষদ পরিদর্শন করেছেন। আসলে ১৩টি দপ্তরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দপ্তরগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যেসব লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার তার কিছুই নেই।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo