মাদারীপুরে চালক হত্যার দায়ে দুই জনের মৃত্যুদন্ড আসামী পলাতক

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর , ২০২৩ ০৯:২১ আপডেট: ১০ অক্টোবর , ২০২৩ ০৯:২১ এএম
মাদারীপুরে চালক হত্যার দায়ে দুই জনের মৃত্যুদন্ড আসামী পলাতক
মাদারীপুরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালককে হত্যার দায়ে দুই জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদাউস

মাদারীপুরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালককে হত্যার দায়ে দুই জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদাউস।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই রায়ে এসময়ে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তরা আসামীরা পলাতক ছিল। রায়ে বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকার করে দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের পাঁচখোলা গ্রামের আউওয়ালি বেপারীর ছেলে সজীব ব্যাপারী (২৭) ও একই গ্রামের আব্দুল খানের ছেলে মিঠুন খান (৩১)।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গেলো ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাদারপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি গ্রামের রবিউল মাতুব্বরের ছেলে বোরহান মাতুব্বর (১৮) জীবিকা নির্বাহের জন্যে ভাড়ায় একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরের দিন ১ জানুয়ারি সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।

২ জানুয়ারি বোরহানের মোটরসাইকেলটিসহ সজীব ব্যাপারী ও মিঠুন খানকে সাতক্ষীরা জেলার তালা থানায় আটক করা সম্ভাব হয়েছে। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদের কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে বোরহানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ওই দিনই সজীব ব্যাপারী ও মিঠুন খানকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা বরিউল মাতুব্বর।

ওই বছরের ১০ জুলাই তিনজনকে দোষী করে চার্জশিট দিয়েছেন সদর থানার এসআই বারেক করিম খান। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে রায় দেওয়া হয়েছে।এ রায়ে সজীব ব্যাপারী ও মিঠুন খানকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে লাভলু গাজি নামে একজন খালাস পেয়েছে। রায়ে নিহতের পিতা ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি জামিনে এসে পরে পলাতক রয়েছে। 

এ ব্যাপারে মাদারীপুর দায়রা ও জজ আদালতের পিপি এ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান শিং বলেন, আসামীরা মাত্র এক লাখ টাকার একটি মটরসাইকেলের জন্যে একজন গরীব অসহায় পিতার সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এটা সমাজের জন্যে খুবই খারাপ ও নির্মম ঘটনা। ফলে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ দিয়ে রায়টি করা চেষ্টা করেছি। ফলে দুই জনকেই ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। এতে আমরা খুশি।

মামলার বাদী নিহতের পিতা রবিউল মাতুব্বর বলেন, আমার ছেলেকে যারা নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি দেয়ায় আমি আনন্দিত। তবে রায়টি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়, সেদিকে সরকারকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করবো।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo