মজুদ শেষ ফিলিং স্টেশনগুলোতে, ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য

সহিদুর রহমান প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী , ২০২৪ ১০:৫৭ আপডেট: ২৯ জানুয়ারী , ২০২৪ ১০:৫৭ এএম
মজুদ শেষ  ফিলিং স্টেশনগুলোতে, ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য
বিয়ানীবাজারের ফিলিং স্টেশনগুলোতে মাসিক মজুদ শেষ হওয়ায় তীব্র গ্যাসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ কারণে প্রায় ৭-৮ হাজার সিএনজি অটোরিকশার চালক বিপাকে পড়েছেন। মূলত ফিলিং স্টেশনগুলোতে মাসিক হারে বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিয়ানীবাজারের ফিলিং স্টেশনগুলোতে মাসিক মজুদ শেষ হওয়ায় তীব্র গ্যাসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ কারণে প্রায় ৭-৮ হাজার সিএনজি অটোরিকশার চালক বিপাকে পড়েছেন। মূলত ফিলিং স্টেশনগুলোতে মাসিক হারে বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, চলতি মাসের ৫-৬ দিন অবশিষ্ট থাকাবস্থায় গ্যাসের মজুদ শেষ হয়েছে বিয়ানীবাজার উপজেলার দুটি সিএনজি ফুয়েলিং স্টেশন থেকে। এ কারণে বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর, বিয়ানীবাজার-দাসউরা, বিয়ানীবাজার-দুবাগ-চারখাই, বিয়ানীবাজার-সিলেট, বরাইগ্রাম-বিয়ানীবাজার, সারপার-বিয়ানীবাজারসহ অন্যান্য রোডগুলোতে চলাচলকারী অটোরিকশাগুলোর চালকরা গ্যাস সঙ্কটের অজুহাত দেখিয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ নিয়ে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে প্রায়ই ঘটছে কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডা।

সাব্বির, নয়ন, আকবর, হোসেন নামে একাধিক যাত্রী বলেন, তিলপাড়া থেকে বিয়ানীবাজারের ভাড়া ৩০ টাকা। তবে এখন ৫০ টাকা করে জন প্রতি ভাড়া নিচ্ছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।

জানা গেছে, মজুদ শেষ হওয়ায় শুক্রবার থেকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিয়ানীবাজার শহরের সুপাতলা এলাকার মাহমুদ (সিএনজি) ফিলিং স্টেশন। পরবর্তীতে বৈরাগীবাজার এলাকার  শাহজালাল ফিলিং স্টেশনেও গ্যাস সংকটের ঘোষণা দেয়। ফলে বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা বড়লেখা, জুড়ী ও জকিগঞ্জ উপজেলায় চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশাগুলো গ্যাস পাচ্ছে না। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার তিনটি গ্যাস সরবরাহকারী ফিলিং স্টেশনগুলোতেও গ্যাস সংকট দেখা গেছে। তারা আনুষ্ঠানিক বন্ধের ঘোষণা না দিলেও গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না।

মাহমুদ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও শাহজালাল ফিলিং স্টেশন দুটতে গ্যাসের মজুদ শেষ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলার সিএনজি অটোরিকশা চালক। বর্তমানে গাড়ি বন্ধ রেখে বেকার সময় অতিবাহিত করছেন তারা।অটোরিকশার চালক আলতাফ হোসেন বলেন, টানা ৪-৫ দিন গ্যাস পাবো না। আয় রোজগার বন্ধ হয়েছে। আমরা আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়ে গেছি।

নজমুল হোসেন, কামরান আহমদ, আব্দুল আলিমসহ একাধিক চালজ জানান, গ্যাসের সঙ্কট চলছে। এজন্য নিয়মিত লাইনে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দুটি ফিলিং স্টেশনের একটি চলতি মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস শুক্রবারের মধ্যে বিক্রি করে ফেলেছে। গাড়ির ভাড়তি চাহিদায় একটির মজুদও ফুরিয়ে এসেছে রোববার রাতে। এ জন্য ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হওয়ার আগে তারা গ্যাস সরবরাহ করতে পারবেন না, আর বিক্রিও করতে পারবেন না।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo