ভোট গ্রহণের ৫ দিন আগে যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও এক প্রার্থীর মামলার কারণে বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন এই উপজেলার নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্য প্রার্থীরা।নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান সাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্যে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট (উচ্চ আদালত) বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
হাইকোর্ট গত ১৩ মে শাহারুলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করে। আদালত গত ২০ মে আদেশে ‘নো অর্ডার’ প্রদান করেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওই আদেশ বাস্তবায়নের জন্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন’।
এ বিষয়ে যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুর রশীদ বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে’।
এদিকে নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচদিন বাকি। প্রার্থীরা রাতদিন এক করে প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচার প্রচারণা যখন তুঙ্গে তখনই নির্বাচন স্থগিতের এই আদেশে প্রার্থীরা হতাশ হয়েছেন। নির্বাচনে শাহারুল ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে আরো প্রার্থী হয়েছেন সাতজন।
মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে রাত দিন বিভিন্ন উপজেলায় গণসংযোগ করেছি। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে। এই নির্বাচন স্থগিত হলে আমাদের মতো সব প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুল জানান, আর মাত্র ৫ দিন বাকি রয়েছে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। সব প্রার্থী গণসংযোগ চালিয়ে গেছেন সমানতালে। এতে তাদের অর্থ ও সময় ব্যয় হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন স্থগিতের রায় আমাদেরকে ব্যথিত করেছে।