রাজধানীর কাকরাইলে ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর যৌথবাহিনীর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গাইবান্ধা জেলা গনঅধিকার পরিশোধের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলে“জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে”, “অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন”, “আপা গেছে যেই পথে লীগ যাবে সেই পদে”, “ফ্যাসিবাদে খবর খোড়”, “জুলাই যোদ্ধা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাই চাই” প্রভৃতি স্লোগান দেন।সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি এখনো মনে করে তারা ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখতে পারবে, তবে তা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আজ আইন উপদেষ্টা কেবল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি— এটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার কৌশল। সিটিং মিনিস্টার হয়ে কেবল প্রতিবাদ জানানো গণতন্ত্রের প্রতি চরম অবমাননা। জাতীয় পার্টি নির্বাচনের আগে ভারতে গোপন চুক্তি করেছিল তা এখনই প্রকাশ করতে হবে।”তারা আরো বলেন, “নুরুল হক নুরের ওপর হামলা প্রমাণ করে ইন্টেরিম সরকারেও ফ্যাসিবাদী শক্তি সক্রিয় রয়েছে। আওয়ামী লীগ সেনাবাহিনী এবং ভারতকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রেখেছিল। এদের সাংস্কৃতিক উইং নির্মূল না করলে রাজনৈতিক আধিপত্যও টিকে থাকবে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে দেশ আবারও ফ্যাসিস্ট দমন-পীড়নের কবলে পড়বে।”প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ভিপি নুরসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় নুরকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার সহকর্মীরা।