সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি”- এই শ্লোগানকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে
সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি”- এই শ্লোগানকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৪ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার সকাল ১০টায় নগরীর কাউতলীস্থ স্বপ্নতরী হলরুমে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা হতে পাঠ, পবিত্র বাইবেল পাঠ এবং জাতীয় সংগীত এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অ্যাম্বাসেডর এস এম শাহীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জয়নাল আবেদীন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক কাজী মোঃ জাভেদ হোসেন প্রমুখ। পিএফজি কোঅর্ডিনেটর নীহার রঞ্জন সরকার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য এবং সম্প্রীতির অভিযাত্রা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর রিপন আচার্য। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন পিএফজি অ্যাম্বাসেডর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সাবেক) এ বি এম মমিনুল হক, পিএফজি অ্যাম্বাসেডর জেলা পরিষদের সাবেক কাউন্সিলর রুমানুল ফেরদৌস, পিএফজি সদস্য তাহের উদ্দিন ভুঁইয়া, ব্যাপ্টিস্ট মিশনের ফাদার টাইটাস দাসগুপ্তসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতগণ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্ম গুরুবৃন্দ, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল এদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একটি শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা। বিশ্বের বুকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে আমরা আমাদের প্রিয় স্বদেশকে গড়ে তুলতে চাই। গড়তে চাই একটি মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ যেখানে প্রতিটি মানুষ থাকবে নিরাপদ, প্রত্যেকের ধর্ম, সংস্কৃতি বা বিশ্বাস অক্ষুন্ন রেখে মর্যাদার সাথে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন নিশ্চিত হবে। আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠান থেকে সকল অংশগ্রহণকারী ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ মুক্ত সামাজিক সম্প্রীতির অসাম্প্রদায়িক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরিশেষে উপজেলার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে সর্বসম্মতিক্রমে ১১ টি ঘোষণা সম্বলিত ঘোষণাপত্রে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ স্বাক্ষর করেন।