দিনাজপুরের বীরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর রেজিয়া খাতুন (৭৫) নামে এক বৃদ্ধাকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।
নিহত রেজিয়া খাতুন বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের ধনগাঁও জুম্মার হাট এলাকার বাসিন্দা সবদুর মিয়ার স্ত্রী। গত ৭ জুন নিজ বাসা থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউপির ধনগাঁও জুম্মার হাট এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (২৬), একই এলাকার বাসিন্দা নিহতের দেবর রেনু মিয়ার ছেলে হাসিম মিয়া (৪৩) ও উপজেলার দেউলি এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে রমজান আলী (২৫)। জাকির ও রমজান আলী সম্পর্কে নিহতের নাতি হন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ৬ জুন রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের ন্যায় আলাদা আলাদা ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সবদুর মিয়া ও রেজিয়া খাতুন। রাতের যেকোনো সময়ে তাদের ঘরে ঢুকে ট্রাঙ্কের তালা ভেঙে গরু ও গম বিক্রির এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও জমির দলিল চুরি করতে যান জাকির, হাসিম ও রমজান।
একপর্যায়ে ঘুম থেকে সজাগ পেয়ে তাদের চিনে ফেলেন রেজিয়া খাতুন। পরে রেজিয়া খাতুন তার ঘরে আসার কারণ জানতে চাইলে বাড়িতে থাকা ‘দা’ দিয়ে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন আসামিরা। পরে গত ৭ জুন নিজ বাসা থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সুনু মিয়া (৪০) বীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনার পর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে জাকিরকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসিম মিয়া ও রমজান আলীকে আটক করা হয়। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা ও জমির দলিলপত্র উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মমিনুল করিম, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা, বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।