কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মোবাইল ফোনে সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে স্বর্ণ ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগির পরিবার ।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মোবাইল ফোনে সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে স্বর্ণ ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগির পরিবার ।
ভুক্তভোগির পরিবারের অভিযোগ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রবিউল ইসলামের মোছাঃ মাসুরা খাতুন ও তার মেয়ে মোছাঃ রত্মা খাতুন সাথে আমার সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে মোছাঃ ঈশিতা খাতুন (১৪) প্রতিবেশি হিসেবে আসা যাওয়া করতো । গত ৬ মাস ধরে মোঃ রবিউল ইসলামের স্ত্রী মাসুরা খাতুন , তার মেয়ে বিবাহিত মেয়ে মোছাঃ রত্মা খাতুন তার জামাই নিশান হোসেন মিলে কোনো এক ছেলের সাথে আমার মেয়ের ফোনে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে তোলে ।
পরে সেই ছেলে ও রবিউল ইসলামের স্ত্রী মাসুরা খাতুন , তার মেয়ে মোছাঃ রত্মা খাতুন সহ তার মেয়ে জামাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আমার মেয়েকে ফুসলাইয়া আমার নিজের গহনা ও টাকা সেই ছেলেকে দেওয়ার কথা বলে আমার বাড়ি থেকে নিইয়ে তাদের হাতে তুলে দেয় । পরবর্তীতে আমরা যখন সকল কিছু জানতে পারি পরে খোজ খবর নিয়ে দেখি সেই ছেলে সম্পন্ন ভুয়া আমার মেয়ের কাছ থেকে রবিউল এর পরিবার ওতার জামাইরা মিলে সকল টাকা ও গহনা আত্মসাত করছে । এই বিষয়ে থানায় অভিযগ দিলেও কোন সুরহা হয়নি বলে জানায় এই ভুক্তভোগির পরিবার ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগির মোছাঃ ঈশিতা খাতুন (১৪) বলেন , আমি ছোট বেলা থেকেই রবিউল কাকার বাড়িতে আশাযাওয়া করি । কিন্তু বিগত ৬ মাস ধরে রবিউল স্ত্রী মাসুরা খাতুন , তার মেয়ে মোছাঃ রত্মা খাতুন ও জামাই মোঃ নিশান হোসেন ফোন এক ছেলের সাথে আমার সম্পর্ক করিয়ে দেয় । আমি বিভিন্ন সময় এই ছেলের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে চাইলে তারা আমার সাথে অডিও তেই কথা বলায় । আবার দেখা করার কথা বললে বিভিন্ন কথা বলে ।
হঠাৎ একদিন সেই ছেলের নাকি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে তার পায়ে সমস্যা হয়েছে এজন্য আমার কাছে টাকা দাবি করে আমি টাকা দিতে না পাড়ায় রবিউলের স্ত্রী আমাকে আমার মায়ের গহনা এনে দিতে বলে আমি তাই এনে তাদের হাতে দেয় । পরে আমার সাথে বিয়ের কথা আমার মায়ের কাছে থাকা যা স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল তাই এনে আমি রবিউলের স্ত্রীর হাতে এনে তুলে দেয় পরে আমি জানতে পারি সে কোনো ছেলে ছিল না আসলে রবিউলের স্ত্রী , মেয়ে , আর তার জামাই মিলে আমার সাথে প্রতারনা করছে আমি এর সঠিক বিচার চাই । আমি ছোট মানুষ এই গুলো কিছুই বুঝতে পারি নাই ।
এ বিষয়ে কথা বলতে সরজমিনে রবিউল ইসলামের বাড়ি গেলে তাদের বাড়ি ঘর তালা ঝোলানো অবস্থায় দেখা যায় । তাদের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।
স্থানীয় বাসিন্তারা জানায় এই রবিউলের পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে । আর এই মেয়ের সাথে যা হয়েছে এর সঠিক বিচার করা উচিত যেন এমন আর কোনো মেয়ের সাথে এমন কাজ আর না হয় ।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার সাব-ইনেসপেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান মুঠোফোনে জানান , এ বিষয়ে থানায় এক বার বসাবসি হয়েছে কিন্তু কোন সমাধান আসেনি । আরেক বার বাদী বিবাদি উভয়কে বলা হয়েছে এই বার বসে বিষয়টি সমাধান করা চেষ্টা করবো ।