নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী ২১ বছর বয়সী সাজিদ আলীকে পুঠিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। সোমবার ১২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রাম হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সাজিদ আলী বাগাতিপাড়া উপজেলের জামনগর ইউনিয়নের ডাকারমারিয়া গ্রামের মোঃ সিদ্দিকের ছেলে। রাজশাহী র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর কোম্পানী কমান্ডারের কার্যালয় থেকে এক বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ধর্ষণ মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, এজাহার নামীয় ২ নং আসামী ও ভিকটিম প্রতিবেশী এবং তারা সম্পর্কে দাদি নাতি। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ভিকটিমের মা গরু ছাগলকে ঘাস খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় এজাহার নামীয় ২নং আসামী ভিকটিমকে টিভি দেখার কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সে ভিকটিমের সম্পর্কে দাদি হওয়ায় তার কথা মত সরল মনে তার সাথে তার বাড়িতে যায়। এর আগে থেকেই প্রতিবেশী দাদির শোবার ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে ছিল। ওই ঘরে পানি খাওয়ার মগ আনতে গেলে সাজিদ আলী খাটের নিচে থেকে বের হয়ে পিছন থেকে ভিকটিমকে ঝাপটে ধরে শয়ন ঘরের দরজা আটকে তালা বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিক ঘটনাটি তার মায়ের কাছে জানালে তার মা বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকে আত্বগোপনে চলে যায় মামলার প্রধান আসামী সাজিদ। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাবের নাটোর ক্যাম্প বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন। তারই প্রেক্ষিতে নাটোর ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী সাজিদ আলীকে সোমবার বিকেলে পুঠিয়ার মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে সংশ্লিষ্ঠ থানায় আসামীকে হস্তান্তর করা হলে মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ বলেও র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।