বাকৃবিতে শিক্ষকদের ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি

মোঃ আশিকুজ্জামান প্রকাশিত: ৩ জুলাই , ২০২৪ ১৫:২৯ আপডেট: ৩ জুলাই , ২০২৪ ১৫:২৯ পিএম
বাকৃবিতে শিক্ষকদের ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের করিডোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। বাকৃবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে আমরা সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন করছি।

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষকেরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি এবং বাকৃবির তিনটি কর্মচারী সংগঠনের কর্মচারীরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের করিডোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।  বাকৃবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে আমরা সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন করছি।

আমরা ক্লাস পরীক্ষা কিছুই নিচ্ছি না। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতিও আমরা পুষিয়ে দিবো। প্রয়োজন হলে অনলাইনে ক্লাস নিয়ে এবং বন্ধের দিনে ক্লাস নিয়ে আমরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিবো।উল্লেখ্য, বিগত ৩০ জুন তারিখে বাকৃবির শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যান এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।অন্যদিকে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক বাকৃবির তিনটি কর্মচারী সংগঠন- ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ, ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ও কারিগরি কর্মচারী সমিতির কর্মচারীরা দ্বিতীয় দিনের মতো একযোগে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে।

বাকৃবির ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. মোশারফ বলেন,ফেডারেশনের নির্দেশনা মোতাবেক বাকৃবির তিনটি কর্মচারী সংগঠন আজকে অর্ধবিরতি পালন করেছে। আমাদের দাবি সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন ও অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাহার করতে হবে। আগামীকালও অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে। ৭ তারিখের মধ্যে দাবি না মানলে ফেডারেশনের নির্দেশনা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করা হবে।  

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo