কক্সবাজারের চকরিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে নানি শাশুড়ি গোলতাজ বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন হেফজখানার শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (২৮)। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খুটাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নয়াপাড়ার থমতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
গোলতাজ বেগম ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে নানি শাশুড়ি গোলতাজ বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন হেফজখানার শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (২৮)। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খুটাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নয়াপাড়ার থমতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
গোলতাজ বেগম ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী।
আবদুল্লাহর বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোমাতলীর বার আউলিয়া পাড়ার মৃত মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে। কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়ার নুরুল কোরআন হেফজখানার শিক্ষক তিনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিশান শাহরিয়ার জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুই মাস আগে থেকে আবদুল্লাহর সঙ্গে বিরোধ চলছে স্ত্রী ও নানি শাশুড়ির। সেই জের ধরে সোমবার বিকেলে লোহার বস্তু দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয় গোলতাজকে।
এ সময় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টায় মারা যান তিনি।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত আবদুল্লাহকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
স্বীকারোক্তি দিয়ে আবদুল্লাহ বলেন, ‘দুই মাস ধরে স্ত্রী নাইরা জান্নাতের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছে। এই সময় তার স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে রেখে দেন নানি শাশুড়ি।
এর পর তার (আবদুল্লাহ) বাড়িতে গিয়ে বিয়ের সময় দেওয়া আসবাবপত্রও নিয়ে আসেন তিনি। এসব ঘটনার কারণে স্ত্রীকে নিয়ে আসতে গিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রাগের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করি।’
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জনতার সহায়তায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।