ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের টানপাড়া গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হকের পরিবারসহ অন্তত ৩০ টি পরিবার অবরুদ্ধ। জামে মসজিদ স্থানান্তরিত দ্বন্দে প্রতিবেশি আ: লতিফ ও আবু তাহের গংরা বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে বড়ই কাটা ও বাঁশ দিয়ে বেড়া (বেড়িকেট) দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ এমদাদুল হক পরিবারসহ ৩০ পরিবার ঐ পাড়ায় বসবাস করেন। তাদের বাড়ীতে যাওয়ার জন্য সরকারী হালটের কোন রাস্তা না থাকলেও সামাজিকভাবে চলে আসছেন যুগের পর যুগ ধরে। মহল্লায় জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জামে মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে মোতাবেক মসজিদটি স্থানান্তরিত হয়ে নির্মিত মসজিদে সবাই মিলে নামাজ আদায় করছিল। কিন্তু পুরাতন মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে জানাজা নামাজ আদায় সহ ব্যবহার উপযোগি করায়, প্রতিবেশি আ: লতিফ, আবু তাহের, জহিরুল মাস্টার, হারুন অর রশিদ একটি গ্রুপ তৈরি করে।
তারপরও যখন মসজিদটি আবাদ বা সামাজিক কার্যক্রম সুচারুরূপে চলে আসছে তখন তারা মসুল্লীদের পথ বন্ধ করতে বিভিন্ন স্থানে বাধা প্রদান করে। সেই কৌশলে অবরুদ্ধ হন বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবার। প্রতিবাদী সেই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি ক্ষিপ্ত হন লতিফ গংরা। গত ২০ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে বীরমুক্তিযোদ্ধাকে মারতে আসেন সংঘবদ্ধ সেই চক্রটি। এ ব্যাপারে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ঐদিনই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখএমদাদুল হক।বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ এমদাদুল হক বলেন, প্রতিবেশী আ: লতিফ,আবু তাহের,জহিরুল মাস্টার, হারুন অর রশিদ অত্যন্ত কৌশলে তাদের ৬০ বছর ধরে চলাচলেরপারিবারিক রাস্তা বড়ই কাটা ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি পরিবার।ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুজ্জামান বলেন, এটা একটা পারিবারিকদ্ব›দ্ব। দু’পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। একাধিকবার ঘটনা¯’লে পুলিশ পাঠানোহয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যব¯’া নেওয়া হবে।