ফরিদপুরের জেনারেল হাসপাতাল (সদর) শতবর্ষের হাসপাতালটি বাংলাদেশের মধ্যে চিকিৎসা সেবায় ছিল ভালো অবস্থানে । বর্তমানে এই জেনারেল হাসপাতালটি ৯০% ধ্বংস হয়ে গেছে। ফরিদপুরের জেনারেল হাসপাতাল (সদর) শতবর্ষের হাসপাতালটি বাংলাদেশের মধ্যে চিকিৎসা সেবায় ছিল ভালো অবস্থানে । বর্তমানে এই জেনারেল হাসপাতালটি ৯০% ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফরিদপুরের জেনারেল হাসপাতাল (সদর) শতবর্ষের হাসপাতালটি বাংলাদেশের মধ্যে চিকিৎসা সেবায় ছিল ভালো অবস্থানে । বর্তমানে এই জেনারেল হাসপাতালটি ৯০% ধ্বংস হয়ে গেছে।
নেই কোন সুচিকিৎসা ব্যবস্থা , জনবল সংকট প্রায় ২০ বছর ধরে, ৩৭ জন ডাক্তার থাকার কথা এখন ১০/১২ জন কর্মরত আছে তা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে ডেপুটেশনে কর্মরত আছে । কেন কি কারনে শত বছরের সুনাম বিজরিত জেনারেল হাসপাতালটি পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলছে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থাকায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে কোন রোগি গেলেই দেখার আগেই ব্রাদাররা বলে দেয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যান। এখানে কোন চিকিৎসা সেবা নেই ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক (অবঃ) ডাক্তাররা জানান, ফরিদপুরের কিছু অসাধু ব্যক্তিরা ক্লিনিক ব্যবসায় জড়িত। এ সম্পৃক্ততা থাকার কারণে শহরে মুজিব সড়কসহ শতাধিক বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে । এদের সাথে যোগাযোগ করে সদর হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না, বাধ্য হয়ে জনগনের বেসরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে হয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সকল ডাক্তারাই শহরের কোন না কোন ক্লিনিকে আলিশান চেম্বার নিয়ে রেগি দেখছেন। ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি অচল হয়ে থাকলে বেসরকারী হাসপাতাল মালিকদের জন্য ব্যবসা ভাল হয়।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, রোগিদের যে খাবার দেয়া হয় তাতে রোগিদের কিছুই হয় না। বাহিরে থেকে খাবার কিনে খেতে হয়।
হাসপাতালের একাধিক রোগীরা ও তার স্বজনরা জানান, যা খাবার দেয় তাতে আমাদের পেট ভরে না, ক্ষুধা পেটেই থেকে যায় এবং খাবার নিম্নমানের।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, রোগীর জনপ্রতি ৩ বেলা খাবারের জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ করেছে সরকার। সরকার যা নির্ধারণ করবেন আমাদের তার মধ্যেই রোগীদের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহের সময় দেখা যায় এক মুঠো ভাত ও সামান্য কিছু মিষ্টি কুমড়া ভাজি দিচ্ছে ।
সচেতন ফরিদপুরবাসীর দাবি পূর্বের ন্যায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবায় ফিরিয়ে আনার জন্য। তারা আরো জানান, মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফরিদপুরের জেনারেল (সদর) হাসপাতালের জনবল সংকট ও নিন্মমানের খাদ্য সরবরাহের বিষয়টির জন্য সুদৃষ্টি দিয়ে সমস্যাগুলি সমাধান করে দিবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।