আহত কবির মল্লিকের স্ত্রী জয়গুন বেগম জানান, 'সকালে আমার স্বামী বাড়ি থেকে ভ্যানে করে পেঁয়াজ নিয়ে কানাইপুর হাটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে খাগইড় গ্রামে পৌঁছালে ওই গ্রামের দেলোয়ার মোল্যা, মুসা মোল্যা, মিলন, আমিনুরসহ ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, হাতুড়ি ও চাপাতি নিয়ে আমার স্বামীর ওপর হামলা করে। এসময় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে তার স্বামীকে আহত করা হয়। এর মধ্যে দেলোয়ার মোল্যা আটঘর ইউনিয়নেের ০৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বারও ছিলেন। কবির মল্লিকের মাথায় ৮টি সেলাই ও দুই হাত ভাঙাসহ পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন ক্ষত স্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে দাবী জয়তুন বেগমের।'
ফরিদপুরের সালথায় ভ্যানে করে পেঁয়াজ নিয়ে হাটে যাওয়ার সময় কবির মল্লিক (৪০) এক কৃষককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (০৪ জুন) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ফরিদপুর সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের খাগইড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঐ ঘটনার সময় ভুক্তভোগী কৃষকের পেঁয়াজ ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আহত ওই কৃষককে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, আহত কবির মল্লিক পার্শ্ববর্তী সেনহাঁটি গ্রামের সুখী মামুন কারিগরের ছেলে।
আহত কবির মল্লিকের স্ত্রী জয়গুন বেগম জানান, 'সকালে আমার স্বামী বাড়ি থেকে ভ্যানে করে পেঁয়াজ নিয়ে কানাইপুর হাটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে খাগইড় গ্রামে পৌঁছালে ওই গ্রামের দেলোয়ার মোল্যা, মুসা মোল্যা, মিলন, আমিনুরসহ ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, হাতুড়ি ও চাপাতি নিয়ে আমার স্বামীর ওপর হামলা করে। এসময় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে তার স্বামীকে আহত করা হয়। এর মধ্যে দেলোয়ার মোল্যা আটঘর ইউনিয়নেের ০৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বারও ছিলেন। কবির মল্লিকের মাথায় ৮টি সেলাই ও দুই হাত ভাঙাসহ পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন ক্ষত স্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে দাবী জয়তুন বেগমের।'
জয়গুন বেগম আরও জানান, ' ধারনা করছি গত জাতীয় নির্বাচনে আমার স্বামী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করায় এ হামলা চালিয়েছে। ওই নির্বাচনের সময় আমাদের বাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়েছিল।'
অভিযোগের ব্যাপার অস্বীকার করে অভিযুক্ত দেলোয়ার মোল্যা জানান, 'সকালে মারামারির এমন একটা ঘটনা শুনেছি। তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না, কানাইপুর হাটে ছিলাম। আমি বিকালে বাসায় ফিরেছি। আমি এ মারামারি ও পেঁয়াজ নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত নই৷ কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল তা আমার জানা নেই।'
ফরিদপুরের সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, 'মারামারির খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে আহত কবির মল্লিককে উদ্ধার করে ফরিদপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।'
এব্যাপারে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, 'এঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ আটকে অভিযান চালায়। তবে, তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি। এছাড়া ওই কৃষকের পেঁয়াজ উদ্ধারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।'
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।