ফরিদপুরে তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে জেল থেকেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া মধুখালীতে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোট গ্রহণ। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহন শেষে বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষনা করা হয়।
ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ ফরিদপুর জসীমউদ্দীন হলে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সামচুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে ৩১৯৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হাসান মিঠু টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০০০৯ ভোট।
মধুখালীতে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ২৯৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল ঘোড়া প্রতীকে ১৮৪৮৫ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া চরভদ্রাসনে চেয়ারম্যান পদে আনোয়ার আলী আনারস প্রতীকে ১৬০১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সৈয়দ নিজাম উদ্দিন আহমেদ টেলিফোন প্রতীক ১০৪৫৪ ভোট পেয়েছেন।
ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা টহলরত অবস্থায় ছিলো। এছাড়াও ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ফরিদপুর সদর, মধুখালী ও চরভদ্রাসন উপজেলায় নির্বাচন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। তিন উপজেলায় ৬,৫৯,৩২৪ ভোটের মধ্যে ৩০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।