প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে বাকৃবিতে অবৈধভাবে দোকান হাতবদল

মোঃ আশিকুজ্জামান প্রকাশিত: ৬ জুন , ২০২৪ ০৮:০১ আপডেট: ৬ জুন , ২০২৪ ০৮:০১ এএম
প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে বাকৃবিতে অবৈধভাবে দোকান হাতবদল
গোপন সূত্রে জানা যায়, কে.আর মার্কেটের ১৪ নং দোকানটি মো. জয়নাল আবেদীনের। তিনি মারা যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী লীজ বাতিল হয়ে তা প্রশাসনের কাছে ফেরত যাওয়ার কথা। তবে মৃত জয়নালের নামে লীজকৃত ৩৪২ বর্গফুটের দোকানটি চারভাগে ভাগ করে প্রতিটি পাঁচ লক্ষ টাকা করে বিক্রির জন্য দাম উঠেছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। সম্প্রতি দোকানটির একটি অংশ চুন্নু নামের অন্য এক দোকানীর কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানান মৃত মালিকের পরিবার। দোকানের অংশগুলো এখনও আলাদাভাবে ভাড়া হিসেবে চলমান রয়েছে। জানা যায়, ভাড়া ও সিকিউরিটির জন্য মোটা অংকের টাকাও নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কামাল-রণজিত (কে.আর) মার্কেটে অবৈধভাবে চলছে দোকান ভাড়া ও বিক্রি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অগোচরে দোকানের অবস্থান অনুযায়ী দেড় লাখ থেকে পঁচিশ লাখ টাকার বিনিময়ে হচ্ছে হাত বদল।

 

বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট অফিস সূত্রে জানা যায়, বাকৃবির ভেতরের অবস্থানরত মার্কেটগুলো সরকারি সম্পত্তি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ব্যক্তি দোকানের জন্য জায়গা লীজ নিয়ে থাকে। নির্দিষ্ট দাগে লীজ নিয়ে তারা ফার্ণিচার, ফটোকপি, হোটেল, বাজার কিংবা ভ্যারাইটিজ স্টোর দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমতি নেয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লীজ নেওয়া দোকান অন্য ব্যক্তিকে ভাড়া দেওয়া কিংবা বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী লীজ নেয়া ব্যক্তি মারা গেলে লীজ বাতিল হয়ে তা প্রশাসনের কাছে ফেরত যাবে।

 

গোপন সূত্রে জানা যায়, কে.আর মার্কেটের ১৪ নং দোকানটি মো. জয়নাল আবেদীনের। তিনি মারা যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী লীজ বাতিল হয়ে তা প্রশাসনের কাছে ফেরত যাওয়ার কথা। তবে মৃত জয়নালের নামে লীজকৃত ৩৪২ বর্গফুটের দোকানটি চারভাগে ভাগ করে প্রতিটি পাঁচ লক্ষ টাকা করে বিক্রির জন্য দাম উঠেছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। সম্প্রতি দোকানটির একটি অংশ চুন্নু নামের অন্য এক দোকানীর কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানান মৃত মালিকের পরিবার। দোকানের অংশগুলো এখনও আলাদাভাবে ভাড়া হিসেবে চলমান রয়েছে। জানা যায়, ভাড়া ও সিকিউরিটির জন্য মোটা অংকের টাকাও নেওয়া হচ্ছে।

 

এছাড়া কে.আর মার্কেটের ১৬ নং দোকানটি দীর্ঘদিন যাবত ভাড়ায় চলছে। মাসিক ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া নিয়েছে চুন্নু নামের ওই ব্যক্তি। এস্টেট অফিসের তথ্যানুযায়ী দোকানটির লীজ মালিক মো. মফিজ উদ্দিন। অন্যদিকে মফিজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে দোকানটি তার নয় বলে অস্বীকার করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাধিক দোকান রয়েছে যা সে ভাড়া দিয়েছে বলে জানা যায়।

 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চলছে অবৈধভাবে দোকান ভাড়া ও বিক্রি, বদল হচ্ছে হাত, হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু প্রতি বর্গফুটের জন্য ২ টাকা হারে লীজকৃত ব্যক্তির নামে নামমাত্র টোল প্রদান করা হচ্ছে।

 

অবৈধভাবে দোকান ভাড়া ও বিক্রির বিষয়ে কে.আর মার্কেট কমিটির সভাপতি মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক জানান, এসব বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দোকান লীজ নিয়ে কাউকে বিক্রি করে দেয়ার কোনো এখতিয়ার কারো নেই।

 

কে.আর মার্কেটে অবস্থিত নিউ বিনিমিয় স্টোরের দোকানী চুন্নুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে জানান প্রতি মাসে তিনি ছয় হাজার টাকা দোকান ভাড়া দেয়। অন্যদিকে এস্টেট অফিস সূত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মাসিক ৩৩৪ টাকা পঞ্চাশ পয়সা ভাড়া পাচ্ছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন চুন্নু।

 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo