প্রতিহিংসা বিষ প্রয়োগ করে ১৬ বিঘা আবাদি ফসল বিনষ্ট

মোঃ আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর , ২০২৪ ১২:২৬ আপডেট: ১৬ নভেম্বর , ২০২৪ ০৬:৩২ এএম
প্রতিহিংসা বিষ প্রয়োগ করে  ১৬ বিঘা আবাদি ফসল  বিনষ্ট
জামালপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কাজীপুর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের বিষ প্রয়োগে ১৬ বিঘা সরিষার ক্ষেত বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী পরিবার বুধবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলে সরেজমিনে গিয়ে এঘটনার সত‌্যতা পাওয়া যায়।

 জামালপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কাজীপুর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের বিষ প্রয়োগে ১৬ বিঘা সরিষার ক্ষেত বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী পরিবার বুধবার  সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলে সরেজমিনে গিয়ে এঘটনার সত‌্যতা পাওয়া যায়।স্থানীয়রা জানান, শালদহ গ্রামের মৃত আলম মন্ডল ১৩৫৪ হতে ৫৭ সাল পর্যন্ত জমিদার হতে ৭ একর ১৬ শতাংশ জমির খাজনা পরিশোধ করে দাখিলা গ্রহণ করেন। এর কয়েক বছর পর যমুনা নদীর ভাঙ্গনে বাড়িঘর সহ আবাদি জমিগুলো নদীগর্ভে চলে যায়। দীর্ঘ ৩০ বছর জমিগুলো নদীগর্ভে থাকায় ৬২ সনের এসএ এবং ৮২ সনের আরএস ভূমি জরিপ হতে বাদ পড়ে জমিগুলো খাস খতিয়ান বা (চিটায়) অন্তর্ভুক্ত হয়।এরপর নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে চর জেগে উঠলে মৃত আলম মন্ডলের বংশধর সেই জমিতে পুনরায় বাড়িঘর করে বসবাস শুরু করে এবং জমিগুলো চাষাবাদ করে আসছে বলে জানান এলাকাবাসী। এদিকে আলম মন্ডলের নাতি মহর আলী মন্ডল বলেন, আমার দাদার বড়ভাই মৃত গহর মন্ডলের বংশধর মৃত বাহেজ আলী মন্ডলের ছেলে হাজী আয়নাল মন্ডল ও মৃত মেহের আলী সরকার ছেলে আব্দুস সালাম মন্ডল সহ তাদের সন্তানেরা মৃত আলম মন্ডলের নামে জমিদার হতে পত্তন নেওয়া জমিগুলো নিজেদের বলে দাবি করে বেদখলের চেষ্টা করে আসছে। এছাড়াও এই নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বিচার হয়েছে। কিন্তু আয়নাল ও তার লোকজন বিচার সালিশ মানেন না বলে জানান এলাকাবাসী।ভুক্তভোগীরা জানান, আমাদের বাড়ীর পুরুষেরা বিশেষ কাজে সিরাজগঞ্জ যাওয়ায় ভোর বেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আয়নালের নেতৃত্বে স্বপন ও সাদ্দাম ১৬ বিঘা সরিষা খেতে বিষ প্রয়োগ করেছে এদিকে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা তাদের ফসলি ক্ষেতে কোন বিষ প্রয়োগ করিনি। তারা মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। তারাই তাদের ফসলে বিষ প্রয়োগ করে আমাদের নাম দিচ্ছে। জমিগুলো আমাদের বাপ দাদার। তারা জোরপূর্বক দখল করে খাচ্ছে।এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমি বিষয়টি জানলাম। ঊর্ধ্বতনের সাথে কথা বলে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ব্যাপারে কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo