প্রচন্ড তাপদহে যশোরের সড়ক গুলো দিয়ে মানুষের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এদিকে তাপমদহ অন্যদিকে রাস্তার ধারন ক্ষমতার চেয়ে ওভার লোডের পরিবহন চলাচল করায় রাস্তা গুলো মাঝ খানে দেবে উচু হয়ে গেছে। একারনে রাস্তাগুলোতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোর পালবাড়ী থেকে মনিহার রোড, যশোর -বেনাপোল রোড, যশোর-ঝিনাইদহ রোড. মুড়লী থেকে চাঁচড়া, আরবপুর রোড অন্যতম। এসব হাইওয়ে রোডের অধিকাংশ ¯’ানে দেবে গিয়ে স্প্রীড ব্রেকারের মতো উচু হয়ে গেছে। রাস্তায় উচু নিচুর হওয়ার কারনেই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ আরবপুর সড়ক। এসড়কের ক্যান্টনমেন্ট প্রবেশের মুখে রাস্তার কিছু অংশ দেবে উচু হয়ে গেছে স্প্রীয় ব্রেকারের মতো। সেখানে ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা। ওই রাস্তার পাশের চায়ের দোকানদার ইউনুছ, একই এলাকার ইজিবাইক চালক মুকুল জানান ক্যান্টনমেন্ট প্রবেশের মুখে রাস্তার কিছু অংশ দেবে উচু হয়ে যাওয়ায় ইদের চারদিন আগে কেটে দিয়ে সমান করে দেয়। এর কিছু দিন পর একই অব¯’ায় সৃষ্টি হয়। একারনে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। ওই রোডের উচু অংওশ এলাকাবাসি লাল কাপড় বাধা লাঠি পুথে দেয়। একই অব¯’া যশোর-বেনাপোল রোডের পুলেরহাট বাজারে, মুড়লী থেকে চাঁচড়া, পালবাড়ী থেকে মনিহার যাওয়ার রাস্তা। সেখানেও রাস্তায় উচু নিচু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ।
এ প্রসঙ্গে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহাবুব হায়দার জানান, সড়কের ধারন ক্ষমতা ২০ টন থেকে ২৫ টন। প্রতিনিয়ত এর চেয়ে বেশিও লোডের পরিবহন চলছে। সেই সাথে প্রচুন্ড তাপদহের কারনে বিটুমিন গলে হাইওয়ে রোডের এ অবস্থার সৃষ্টি হ”েছ। সড়কে ওভা লোডের পরিবহন চলাচলের বিরুদ্ধে নওয়াপাড়া ও বোনপোলে ওয়েটস্কেল বসানো হয়েছে। এমেশিন বসানো হলেও নওয়াপড়া চালু করা যায়নি। বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ইদুল ফিতর উপলক্ষে ৮ এপ্রিল কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা। সেই সভায় সড়কে ওভার লোডের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলোচনা হয়। কিš‘ সেটি কার্যকর হয়নি। তিনি জানান আরবপুর রোডের উচু অংশ শুক্রবার দুপুরের পরে কেটে সমান করে দেয়া হয়েছে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান জানান, হাইওয়ে রোডে কোন ওয়েট স্কেল মেশিন না থাকায় কোন পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছেনা।